1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কেন এই যুদ্ধ?

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে এখনই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে সূত্রপাত বলছে না কেউ। তবে এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে দেখছে সব বিশ্লেষণ। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে মধ্যেই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ শুরু করেছে। ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই তারা সব লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউক্রেনের স্থলভাগে ৮৩টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করেছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মো়ট ২০৩টি সামরিক আঘাত হেনেছে পুতিনের দেশ।

কেন এই যুদ্ধ? কোনভাবেই এড়ানো যেতো না সংঘাত? কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে, ভারী অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার উদ্দেশ্য পরিষ্কার -লুহানস্ক ও দনেস্ক দখল করা। রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের এ দুটি প্রদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘শান্তিবাহিনী’ পাঠিয়েছে। এভাবেই ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিলেন পুতিন।

ইউক্রেন সংকটকে চাইলে আমেরিকা থামাতে পারতো। কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপে অস্ত্র এবং গ্যাস বিক্রির কিছু চুক্তি করা। এখন অর্থনৈতিক অবরোধের নামে রাশিয়াকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সেটা যুদ্ধ শুরুর পর করায় ইউক্রেনের খুব একটা উপকার হলো না। রাশিয়া ইউক্রেনের দুটি প্রদেশ দখল করে নিলো তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে, অথচ পশ্চিমারা কিছুই করতে পারেনি। অথচ কয়েকদিন আগেই বড় বড় হুমকি দিয়েছিল রাশিয়াকে।

এই যুদ্ধ এড়ানো যেতো এবং সেটা করতে পারতো আমেরিকায়ই। রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়ে মার্কিন প্রশাসন ও পশ্চিম ইউরোপ চেয়েছে ইউক্রেন-কে ন্যাটোভুক্ত করতে। ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত করার অর্থ হলো রুশ সীমান্তে থাকবে মার্কিন ও ন্যাটোর বাহিনী, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। ১৯৯০-এ সোভিয়েতের পতনের পর রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওয়ারশ জোট নেই, তবুও সম্প্রসারণ ঘটছে ন্যাটোর।

আমেরিকার উদ্দেশ্য রাশিয়াকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা। পুতিন রাশিয়ার এই নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে ভাল করেই জানেন। তাই সরাসরি বলে দিয়েছিলেন পূর্ব দিকে ন্যাটোর আর কোনো অগ্রগতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। পুতিন এও বলেছিলেন যে, ‘রাশিয়া কী মার্কিন সীমান্তের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে যে তারা আমাদের ঘরের কাছে এসে পড়বে?’

সোভিয়েত পতনের আগেই তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জেমস বেকার রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ‘ন্যাটো পূর্বদিকে এক ইঞ্চি-ও এগোবে না’, যদি মস্কো দুই জার্মানির মিলনে সম্মতি দেয়। তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভ সেই চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ওয়াশিংটন তার কথা রাখেনি।

সবার প্রত্যাশা ছিল ন্যাটোকে গুটিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, যে উদ্দেশে ন্যাটো তৈরি করা হয়েছিল, সেই সোভিয়েত ইউনিয়নই আর নেই। তাছাড়া, ন্যাটোর মোকাবিলার লক্ষ্যে যে ওয়ারশ চুক্তি হয়েছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইয়োরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির বিপর্যয়ের পর তারই যখন অবসান হয়েছে, তখন ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতাই নেই। ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি কমানোর চুক্তিও সই হয়েছিল। সেকারণে স্বাভাবিক ভাবনা ছিল ন্যাটোর আর কোনো প্রয়োজন নেই।

কিন্তু তবুও ন্যাটোকে সম্প্রসারিত করছে আমেরিকা। লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়ার মতো বাল্টিক রাষ্ট্র-সহ পোলান্ড, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, চেক সাধারণতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, স্লোভানিয়া, রোমানিয়ার মতো পূর্ব ইয়োরোপের সাবেক সোভিয়েত দেশগুলো এখন ন্যাটোর সদস্য। যুগোস্লাভিয়ার উপর বর্বর বোমাবর্ষণ-সহ ন্যাটো একাধিক যুদ্ধ চালিয়েছে বলকান অঞ্চলে। আর এখন চলে আসতে চায় রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনে। চায় জর্জিয়াকেও সদস্য করতে। ন্যাটো কমার বদলে সদস্য সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

শুরু থেকেই যুদ্ধের প্ররোচণা দিয়ে গেছে ওয়াশিংটন। সাথে আছে বৃটেন। শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ডনবাস সমস্যার সমাধান হতে পারতো। উল্টো যেটা করেছে আমেরিকা ও ন্যাটো সেটা হলো কেন একের পর এক সমরাস্ত্র-বোঝাই মার্কিন ও ব্রিটিশ বিমান ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নামিয়েছে।

ভিয়েতনাম বা আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার শিক্ষা হয়নি। এবার তারা গেছে ইউক্রেনে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাল্টা হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘যারা আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করার কিংবা হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের জেনে রাখা উচিত রাশিয়া অবিলম্বে এর জবাব দিতে সক্ষম। আর তার ফল যা হবে, তা আগে কেউ কখনও দেখেনি’।

অর্থনৈতিক অবরোধ বেশি দিতে গেলে বিপদে পড়বে পশ্চিম ইউরোপ নিজেই। পুরো ইউরোপে যে পরিমাণ গ্যাসের ব্যবহার হয়, তার ৪৩ শতাংশ গাজপ্রোমের। রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের সাহায্যে যা গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া যদি ইউরোপে গ্যাস সরবাহ এক দিনের জন্যও বন্ধ করে দেয়, তাহলে প্রবল সমস্যায় পড়বে ইউরোপ। বরাবরই গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদকে কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে ইউরোপকে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ নিতেই হবে।

পুতিন আগেই বলেছিলেন, যুদ্ধ যদি আসে, তবে তা মার্কিনীদের কারণেই আসবে। সেটাই হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) মিলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংকটকে ঘনীভূত করছে। দনেস্ক ও লুহান্স-এ ২০১৪ সাল থেকে গণহত্যা চালাচ্ছে ইউক্রেন। দেশ দুটির জনসংখ্যা মাত্র লাখ বিশেক। তার মধ্যে ৩০/৩৫ হাজার মারা গেছে।

এই দুটি দেশ ইউক্রেন থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। ২০১৪ সালেই সেখানকার যুদ্ধরত মিলিশিয়ারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তখন ‘মিন্সক চুক্তি’ হয় স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বলে। ইউক্রেন যে সাত বছর ধরে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে তা নিয়ে ন্যাটো বা পশ্চিমারা নিরব। রাশিয়া আট বছর পর তাদের স্বীকৃতি দিল এবং তাদের ডাকেই এগিয়ে গেল। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা হবে, না মার্কিনিরা ইউরোপে তাদের আধিপত্য বাড়ানোর সুযোগ পাবে, হয়তো খুব শিগগির জানা যাবে না এ প্রশ্নগুলোর উত্তর।

লেখক: সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা – প্রধান সম্পাদক, জিটিভি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

৮২ মিলিয়ন টনের জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান পেয়েছে রাশিয়া

ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড চায় না বিএনপি : গণতন্ত্রের অভাবে ধর্ষণ হয়: ফখরুল

মার্চে ঢাকায় হবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’

মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাটমুক্ত, প্রজ্ঞাপন জারি

বয়সে ৩ বছর ৩ মাস ছাড় পেলেন সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা

সাংবাদিকের কল্যাণে ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন

মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে: শেখ হাসিনা

সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে জামায়াত কর্মীরা 

মধ্যরাতে ফের বুয়েট শিক্ষার্থীদের বার্তা পাঠাল নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর

এশিয়া কাপে জ্বরাক্রান্ত লিটনের বদলে বিজয়ের ডাক