1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত : শেখ হাসিনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এসডিজির এজেন্ডাগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ২০২১-২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করে বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফররত বেলজিয়ামের রানি এবং জাতিসংঘের এসডিজি বিষয়ক বিশেষ দূত ম্যাথিল্ড ম্যারি ক্রিস্টিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্ব অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এবং মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। কারণ, যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে।

বেলজিয়ামের রানি বিভিন্ন খাতে বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন এবং নারীশিক্ষায় বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমি আপনাদের অগ্রগতি দেখে খুব খুশি।

বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে।

শেখ হাসিনা রাজনীতি, প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে রানিকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নারীশিক্ষার প্রসারে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথাও সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, সরকার সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ নারীদেরও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে বয়স্ক, বিধবা এবং স্বামী পরিত্যক্তা নারীও রয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী পাঁচ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্র একজন পুরুষ ও একজন নারী দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে। যেখান থেকে বেশিরভাগ নারী ও শিশু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কক্সবাজার ক্যাম্পে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক হাজার গর্ভবতী নারীকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছে। যেখানে তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করেছে সরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও টেকসই ঘর নির্মাণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে ৮৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

বাংলাদেশকে অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। সবুজ বেস্টনি তৈরি করেছে। উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ ও টেকসই বাড়ি নির্মাণ করেছে।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে গত সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের এসডিজি বিষয়ক বিশেষ দূত ও বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ড ম্যারি ক্রিস্টিন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ