1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা নিয়ে ইরানের অস্বীকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ইরান শতকরা ৮৪ ভাগ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে বলে যেসব দাবি সামনে এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। দেশটির দাবি, তারা কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে ৮৪ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেনি।

বৈশ্বিক পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার সাথে চলমান সমস্যা এবং ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা গণমাধ্যমে এই দাবি সামনে আসে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ৮৪ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে বলে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকরা সন্ধান পেয়েছেন বলে রোববার এক প্রতিবেদনে জানায় মার্কিনভিত্তিক আর্থিক বার্তাসংস্থা ব্লুমবার্গ। ইরান এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে কিনা আইএইএ তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আল জাজিরা বলছে, প্রতিবেদনের তথ্য সত্য হলে তা হবে ইরানে সন্ধান পাওয়া সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করার এক বছর পর ২০১৯ সাল থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধি বাড়িয়েছে ইরান।

পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি অতীতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কথা ঘোষণা করেছে। অবশ্য ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছেন না।

সোমবার দিনের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা টুইটারে জানায়, ‘ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্ট সম্পর্কে আইএইএ অবগত। মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক এজেন্সি যাচাইকরণ কার্যক্রমের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করছেন এবং সেটি আইএইএ বোর্ড অব গভর্নরদের যথাযথভাবে অবহিত করবেন।’

ব্লুমবার্গ রোববার দাবি করে, আইএইএ’র পরিদর্শকরা গত সপ্তাহে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে শতকরা ৮৪ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রমাণ পেয়েছেন। তবে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি, এই মাত্রায় ইউরেনিয়ামের যে কণা তারা পেয়েছেন তা পরিকল্পিতভাবে সমৃদ্ধ করা হয়েছে নাকি এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার জন্য স্থাপিত শত শত দ্রুতগতির সেন্ট্রিফিউজ থেকে দুর্ঘটনাক্রমে ঘটে যাওয়া নিঃসরণ। আইএইএ’র পরিদর্শকরা এখন এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

এ সম্পর্কে ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবান্দি বলেছেন, তার দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে বিকৃত তথ্য তুলে ধরতেই পশ্চিমা গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার দেশের কোনও পরমাণু স্থাপনায় এখন পর্যন্ত শতকরা ৬০ ভাগের চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কোথাও ৬০ এর চেয়ে বেশি মাত্রার ইউরেনিয়ামের কণা পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, ইরান ওই মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে।

ইরান এর আগে ঘোষণা দিয়ে শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে আসছিল।

কামালবান্দি আরও বলেছেন, সেন্ট্রিফিউজের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন ইউনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় এ ধরনের কণার অস্তিত্ব পাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনা।

রোববার গভীর রাতে রাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট ফারস নিউজ ওয়েবসাইটকে বেহরুজ কামালবান্দি বলেন, পরিদর্শকদের নিরীক্ষায় ৬০ শতাংশের বেশি বিশুদ্ধতার কণা পাওয়া গেছে, তবে এটি আগে ঘটেছিল এবং এখানে অস্বাভাবিক কিছুই ছিল না।

তিনি বলেন, এটি খুব স্বাভাবিক কিছু যা এক মুহূর্তে সেন্ট্রিফিউজ ক্যাসকেডের ফিড হ্রাসের ফলেও ঘটতে পারে। তবে ইরান এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশের বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেনি।

কামালবান্দির মতে, পশ্চিমা দেশগুলোর মিডিয়াতে গোপনীয় প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইরানকে চাপ দেওয়ার জন্য আইএইএ’কে একটি ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অবশ্য ইরানের এই ধরনের অভিযোগ বেশ পুরোনো।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ