1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঔষধপণ্য রপ্তানি করে ৮ মাসে আয় ১১শ কোটি টাকা

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

২০১০-১১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে মাত্র ৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০২০-২১ অর্থবছরে সেই আয় চার গুণ বেড়ে ১৭ কোটি ডলারে ওঠে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও সেই উল্লম্ফনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) জীবন রক্ষাকারী ওষুধপণ্য রপ্তানি থেকে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে। বর্তমান বিনিময়হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা।
এই আট মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এ খাত থেকে ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ এসেছে। নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতি বছরই ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে। তবে ২০১৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় (মেধাস্বত্ব অধিকার-ট্রিপস) দেয়ার পর থেকে এ খাতের রপ্তানির পালে বাড়তি হাওয়া লাগে। এরপর করোনা চিকিৎসার ওষুধ রপ্তানি করে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ওষুধ খাত।

করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ওষুধশিল্পে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো করোনা এ খাতে আশীর্বাদই বয়ে এনেছে বলা যায়। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি রপ্তানি আয় বেড়েছে সমানতালে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের অন্তর্ভুক্তি, গুণগত মানের উন্নয়ন ও সরকারের নীতিসহায়তার কারণে সুবাতাস বইছে এ খাতে।

ওষুধশিল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত অর্থবছরে কেবল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এই আয় ২৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ মূলত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার, কুষ্ঠরোগ, অ্যান্টি-হেপাটিক, পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, কিডনি ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।
গত অর্থবছরে এ তালিকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ যুক্ত হয়, ফলে এ শিল্পে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
ওষুধশিল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির ও ফ্যাভিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণটি আমদানি করছে।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশের বেশি ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি ৪৩টি কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ১৫৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও ওষুধ রপ্তানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই অর্থবছরে এ খাত থেকে ১৮ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরা আছে। আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের লক্ষ্য ছিল ১২ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ডলার; আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার বা ১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।
আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছিল ৮৭৭ কোটি টাকা।
২০১০-১১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৭৫ কোটি টাকা আয় করেছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরে আয় হয় ৪০৯ কোটি টাকা।

২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৮ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫৪ কোটি টাকা। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা কিছুটা কমে হয় ৫৪১ কোটি টাকা।
এরপর আবার রপ্তানি বাড়তে থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই আয়ের অঙ্ক ছিল ৬৫৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ৭১৪ কোটি টাকা।

ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশই দখল করে আছে বেক্সিমকো। দ্বিতীয় অবস্থানে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ