1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে

ই-বার্তা প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যারা দোসর হয়েছিল, যারা রাজাকার-আলবদর-আলশামস হয়ে হত্যা, সন্ত্রাস, নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল নিরস্ত্র বাঙালির ওপর তাদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। গোলাম আযমকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আনেন। জামায়াতে ইসলাম পুনরুজ্জ্বীবিত করেন। এরপর আস্তে আস্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলাম এবং অন্যান্য মৌলবাদী শক্তি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে এবং এ নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়। গোটা দেশবাসী এই বিচারের পক্ষে অবস্থান নেয়।

এই ঐতিহাসিক বিচারের ফলে আশা করা হয়েছিল যে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মূল উৎপাটিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও মূল উৎপাটন করা যায়নি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দ্বিতীয় প্রজন্ম নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা এখন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপপ্রচার, অপতৎপরতাগুলো হচ্ছে তার সবগুলোর নেপথ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে এবং দেশে নানারকম অপপ্রচার এবং নানা রকম ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এদের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বাংলা ইনসাইডার অনুসন্ধানে। যে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, বাংলাদেশ এবং সরকারবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,

মামুন আল আজমী গোলাম আযমের সন্তান। তিনি বাংলাদেশেবিরোধী প্রচারণার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে।

আরেক যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন সরকারবিরোধী নানারকম তৎপরতায় জড়িত। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোতে বাংলাদেশবিরোধী নানারকম অভিযোগ, বিশেষ করে গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করার ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনের নাম উঠে আসছে বিভিন্ন তদন্তে।

আরেক যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের দুই সন্তানই বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত। এরা জঙ্গিদেরকে সংগঠিত করা, জঙ্গিদেরকে অর্থায়ন, মদদ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। এরা হলেন, আলি আহমেদ তামজিদ এবং আলি আহমেদ তাকিক। এই দুইজনই বাংলাদেশের ভেতরে বাইরে নানারকম অপতৎপরতায় জড়িত।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর দুই পুত্র বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার জড়িত। এদের একজন রফিক বিন সাঈদী অন্যজন শামীম সাঈদী। এরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নির্বাচনী এলাকায় এদের একজনের তৎপরতা দেখা যায়। আর মূল তৎপরতা হলো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচারের সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন বলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে।

মীর কাসেমের পুত্র আহমেদ বিন কাশেম বিদেশে যে সমস্ত বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার হচ্ছে তার অন্যতম হোতা এবং এদেরকে অর্থায়ন করার ক্ষেত্রে মীর কাশেমের পরিবার যুক্ত বলে একাধিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

আরেক যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হলেও তার পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী এখনও বাংলাদেশেবিরোধী তৎপরতায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তিনিও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতায় অর্থ যোগান দেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়াও অন্য যে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীরা দণ্ডিত হয়েছেন, সেই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা দেশ বিনাশী তৎপরতার মধ্যে নিজেদেরকে জড়িয়ে রেখেছে বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যুদ্ধাপরাধীদের পথেই হাঁটছে। তারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বকেও তারা স্বীকার করে না। সূত্রঃ বাংলা ইনসাইডার


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ