1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায়, প্রজন্মের হৃদয় উৎফুল্ল

এম. শাহীন আলম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

আজ ১৭ই মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি, অন্ধকারে ডুবে থাকা জাতির আলোর মশাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।

বিশ্বের ভিবিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে শিশু দিবস পালিত হয়।তবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন যেটি অনুসন্ধান করে বের করেছে বিবিসির মত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম, যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এজন্য ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামীদিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুকাল থেকেই ছিলেন জনদরদী। শিশু মুজিব দরিদ্র ও অসহায় ছাত্রদের শিক্ষা প্রদানের জন্য নিজ পরিবারসহ পাড়া প্রতিবেশী থেকে চাল সংগ্রহ করতেন। তিনি অনেক ছাত্রের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন। তিনি নিজ আদর্শ এবং দেশের মানুষের কল্যাণের ব্রত থেকে সরে যাননি কখনও।

সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক! তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস, টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।

মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য পাকিস্তানিদের শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি মানুষের জন্য লড়াই করেছেন, অধিকাংশ সময় অসহায় জীবনযাপন করেছেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করলেও তিনি সুকৌশলে এগিয়েছেন বাংলার স্বাধীনতার দিকে।

জাতীয় শিশু দিবস প্রতি বছর পালিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে। আজকের শিশুরাই আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ। এজন্য শিশুদের যথাযথ শিক্ষা ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে হলে তাদেরকে সেভাবে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। অনেক শিশু দরিদ্রতার কারণে তাদের সেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়। বাধ্য হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে নিষিদ্ধ শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়ে। যে বয়সে ওদের লেখাপড়া করার কথা সে বয়সে দরিদ্রতার কারণে বিভিন্ন কলকারখানা, হোটেল, ওয়ার্কশপ, দোকানপাট ইত্যাদিতে অমানুষিক পরিশ্রমে লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ, এখানে বাস ১৭ কোটি মানুষের। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ কোটিরও বেশি শিশু। তাই শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

পরিশেষে বলবো… বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম যারা বঙ্গবন্ধুর মতোই নিঃস্বার্থে মানুষের জন্য কাজ করবে, অহঙ্কারমুক্ত থাকবে, মানুষের সঙ্গে মানুষের ভেদাভেদ না করে সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়বে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই একটি স্বাধীন ভূখন্ডের জন্ম! আর এই ভূখন্ডের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হলে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা ধারণ করে বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

লেখক : এম. শাহীন আলম – সাবেক সভাপতি, লক্ষ্মীপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ