1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ডিসেম্বরেই চালু হবে মেট্রোরেল : সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৭২ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২

মেট্রোরেলের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৭২ শতাংশে। এছাড়া প্রথম অংশের বাস্তবায়ন ৯০ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং দ্বিতীয় অংশের ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে। একই সঙ্গে ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রেলকোচ ও ডিপো অংশের যন্ত্রপাতির কাজ ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে। বর্ধিত অংশের (মতিঝিল থেকে কমলাপুর) কাজও এগিয়ে চলছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ফলে ঢাকাবাসীর যানজটমুক্তির স্বপ্ন আট মাসের মধ্যে পূরণ হতে যাচ্ছে।

ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকা থেকে নির্মাণসামগ্রী ও মালামাল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও সরিয়ে ফেলাও হয়েছে। এ কারণে কমে আসছে সড়কপথের জনদুর্ভোগ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমসিএল) প্রতিবেদন এবং সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ডিএমসিএল সূত্র জানায়, দেশের প্রথম মেট্রোরেল হিসাবে এমআরটি লাইন-৬ বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের জুলাইয়ে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটির প্রথম অংশ উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ৯টি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ চলছে।

প্রকল্পটির প্যাকেজভিত্তিক অগ্রগতি হচ্ছে-

প্যাকেজ-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) : এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এতে সরকারের ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

প্যাকেজ-২ (ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ) : এ প্যাকেজের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এ প্যাকেজের কাজ শুরু হয়। ডিপোর অভ্যন্তরে নির্ধারিত ৫২টি স্থাপনার মধ্যে ৪৩টির কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ।

প্যাকেজ-৩ ও ৪ (উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৯টি স্টেশন নির্মাণ) : এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। উভয় প্যাকেজের কাজ ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হয়। ইতোমধ্যে পরিষেবা স্থানান্তর, চেক বোরিং, টেস্ট পাইল, মূল পাইল, পাইল ক্যাপ, আই গার্ডার, প্রিকাস্ট সেগমেন্ট কাস্টিং, পিয়ার হেড, ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, পাঁচটি লং স্প্যান, ব্যালেন্সড কন্ট্রোলার স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া সব স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ এবং সব প্যারাপেট ওয়াল ভায়াডাক্টের ওপর বসানো শেষ হয়েছে।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী ও মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁও স্টেশনের কনকোর্স ছাদের কাজ শেষ হয়েছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনের স্টিল রুফ স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। মিরপুর-১১তে স্টিল রুফ নির্মাণকাজ চলছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিংয়ের কাজ এন্ট্রি-এক্সিট স্ট্রাকচার নির্মাণ শেষ। আটটি স্টেশনের রুফ সিট স্থাপন হয়েছে। তবে আগের চেয়ে শ্রমিক সংখ্যা কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসাবে উপস্থিত একাধিক প্রকৌশলী জানান, এখন কাজ শেষের পথে। তাই যতই কাজ শেষের দিকে আসবে, ততই শ্রমিক কমবে।

প্যাকেজ-৫ (আগারগাঁও থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ) : এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এছাড়া পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের আগস্টে এ প্যাকেজের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, ট্রায়াল ট্রেঞ্চ, টেস্ট পাইল, স্থায়ী বোরড পাইল, পিয়ার কলাম ও পিয়ার হেড নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, বর্তমানে বিজয়সরণি, ফার্মগেট ও কাওরান বাজারে স্টেশনের কাজ চলছে।

প্যাকেজ-৬ (কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশনের নির্মাণকাজ) : এ প্যাকেজের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৮ সালের আগস্টে কার্যক্রম শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত অনেক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বর্তমানে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনের কাজ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের ১৩৫ মিটার কনকোর্স লেবেল স্লাব কাস্টিং এবং ৪৫ মিটার প্ল্যাটফরম লেভেল স্লাব কাস্টিং শেষ হয়েছে। এছাড়া অনেকটাই ভায়াডাক্টের কাজ দৃশ্যমান।

সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় এবং মতিঝিল স্টেশনের সম্পূর্র্ণ কসকোর্স লেভেল ও প্ল্যাটফরম লেভেলের স্লাব কাস্টিং শেষ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে স্টিল রুফ স্ট্রাকচার ও এন্ট্রি এক্সিট স্ট্রাকচারের কাজ চলছে।

প্যাকেজ-৭ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম) : এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্যাকেজটির কার্যক্রম শুরু হয়। উত্তরা ডিপোতে রিসিভিং সাব-স্টেশনের পূর্ত নির্মাণকাজ শেষ করে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হয়েছে। মতিঝিল সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণ চলছে। এছাড়া এ প্যাকেজের অনেক কাজ শেষ করা হয়েছে।

প্যাকেজ-৮ (রেল কোচ ও ডিপো ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহ) : এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কার্যক্রম এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্যাকেজ-৯ (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) : এ প্যাকেজের কাজ শুরুর জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কিস্ক অব মিটিং করা হয়েছে।

ডিএমসিএল সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ওয়েব মোকাবিলায় প্রকল্পে নিয়োজিত জনবলের পরিপূর্ণ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা চলছে। এছাড়া গাবতলী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শষ্যাবিশিষ্ট এবং উত্তরার পঞ্চবটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শষ্যার ফিল্ড হাসপাতাল চালু আছে। নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জনবলের নিরাপদ অবস্থানের জন্য নির্মাণস্থলের কাছেই আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ডিএমসিএল এবং এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোয় কর্মরত দেশি ও বিদেশি জনবলকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ