1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর বাংলাদেশ

প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

২৫ মার্চ পাকিস্তানের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্য কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বলেন, ‘আমাদের জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা উচিত।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১-এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল মন্ত্রীর বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। বলেন, ‘এখানে বক্তব্য খুব পরিষ্কার। একটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস আছে ৯ ডিসেম্বর। ২০১৭ সাল থেকে গণহত্যা দিবসকে আমাদের জাতীয় সংসদে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আমাদের ওপর যে গণহত্যা হয়েছে, তার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।’

স্বপ্নীল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে দায়ী করেছে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য। আর্মেনিয়ার গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকলেও বাংলাদেশের গণহত্যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। ভয়েস চেঞ্জ করতে হবে, আমাদের ওপর যে গণহত্যা হয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য।’

মুক্তিযুদ্ধের স্টোরি টেলিংয়ের প্রস্তাব

আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য গণমাধ্যমের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমি মন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুনকে বলছি, একটা প্রোগ্রাম নেন স্যার, আমাদের সবার সঙ্গে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্টোরি টেলিং শুরু করেন।

‘স্টোরি টেলিংয়ের কারণ প্রত্যেকটি ঘর মুক্তিযুদ্ধের ঘর। সে সময় প্রতিটি মা, কৃষক ও মানুষ যদি সহায়তা না করত তাহলে পাকিস্তানের বর্বরদের হাতে আমরা কম্বোডিয়ার মতো নিঃশেষ হয়ে যেতাম। এ জন্য আপনি প্রতিটি ঘরে যান সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প আছে। আমরা সেটা জানিই না। এ কারণে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চের মতো গণহত্যা পাকিস্তানিরাই করতে পারে। কারণ তারা একটি বর্বর জাতি। তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে মেরেছে। একটাই কারণ যে বাঙালিকে আমরা উঠতে দেব না।’

অ্যারোমা দত্তের বক্তব্যের সমর্থন করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প জানাতে হবে। এটা আমাদের যেমন পাঠ্যক্রমে থাকবে, তেমনি যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সফলতা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তারা করবেন।

‘যারা এ বিষয়টা নিয়ে আগাবেন, আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে ভিডিও, সিনেমা অনেক কিছু নির্মাণ করা যেতে পারে। এগুলো আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি।’

গণহত্যার বিচার দাবি

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক ম্যাসাকার দেখেছি, যার আন্তর্জাতিক বিচার হয়েছে। যারা জীবিত আছে কিংবা মৃত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরও বিচার করা হোক।’

পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমার আহ্বান

মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিকৃত ইতিহাস রয়েছে। যেমন- গোলমালের বছর, গন্ডগোলের বছর এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ইতিহাসটা বাইপাস করে যেত। এই বিষয়গুলো আমাদের স্পেসিফিক্যালি বলতে হবে এবং এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.), সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত