1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলন

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের তরমুজ ও বাঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ স্থান। সময় মত বীজ-সার পাওয়ার সাথে সাথে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ফুটির (বাঙ্গির) বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দুই বছরে ফলন ভালো হলেও করোনার কারণে বাজার মন্দ থাকায় লাভবান হতে পারেনি। কিন্তু এ বছর ফলন ও বাজার দুই ভালো হওয়ায় গত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। রমজানে ফসল ওঠায় অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল দাম পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকার এসে এখান থেকে বাঙ্গি নিয়ে ব্যবসা করায় তারাও লাভবান হচ্ছে।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তেঁতুলবাড়ি, মাছপাড়া, নলুয়া, বুরুয়া, কুমুরিয়া, চকপুকুরিয়া ও হিজলবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে ফুটির (বাঙ্গি) চাষ করছে কয়েক হাজার কৃষক। এসব গ্রামের কৃষকদের বাৎসরিক আয়ের অন্যতম উৎস হলো তরমুজ ও ফুটি (বাঙ্গি) চাষ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সময়মত বীজ-সার পাওয়ায় ক্ষেতে ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রকার ভেদে এক একটি বাঙ্গি (ফুটি) ৩০ থেকে ১০০ টাকা পযন্ত বিক্রি করছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি জমিতে বাঙ্গি (ফুটি) চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাকি সময় আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ফল ঠিকমতো তুলতে পারলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।

রমজান মাসে বাঙ্গির ভালো চাহিদা থাকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল তুলে রাস্তায় বা আড়তে আনা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাছে। চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকাররা এসে এখান থেকে বাঙ্গি কিনে নিয়ে ব্যবসা করছেন।
স্থানীয় কৃষক সুভাষ হাওলাদার বলেন, গত দুই বছরও বাঙ্গির চাষ করেছিলাম, ফলনও ভালো হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে বাজার ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ভালো দাম পাইনি। এবারও ফলন ভালো হয়েছে। ফল তোলার সময় রোজা পড়ায় দাম ভালো পাচ্ছি। বাঙ্গি তোলা পর্যন্ত এ রকম দাম থাকলে আশা করি বেশ ভালো লাভ হবে।

অন্যদিকে আড়ৎদার অসিম হাওলাদার বলেন, কোটালীপাড়া এলাকায় প্রতি বছর কযেকশ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ হয়ে। প্রচুর ফলনও হয়। আমরা বছরের দুই মাস এখানে অস্থায়ী আড়ৎ করি। প্রচুর বেচা-কেনা হয়। এখানে বলতে গেলে সারা বাংলাদেশ হতে পাইকারীরা আসে। এখান থেকে বাঙ্গি কিনে নিয়ে ব্যাপারিরা ব্যবসা করে। আমারাও এই দুই মাসে দু-চার টাকা আয় করি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ