1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রীর সফর: ভূ-রাজনীতির এক নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

বিশ্বপরিস্থিতি যখন সামরিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের দামামায় ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তখন এই সময়ে যুদ্ধ নয়, শান্তির বার্তা নিয়ে সম্প্রতি ২৫ এপ্রিল থেকে চার দিনের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ককে যে উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, তা সত্যি এক অভাবনীয় চমক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কারো পক্ষে আগে থেকে তা বুঝতে পারাটা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বাস্তবতার কারণেই কঠিন ছিল। তবে পশ্চিমা বলয়ের অভিভাবক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাম্প্রতিক কিছু ইঙ্গিত প্রকাশ পাওয়ার ফলে তখনই আমার কাছে মনে হয়েছে, এবার প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কোনো মাত্রা যোগ হতে চলেছে। তবে দুই দেশের সম্পর্কটি যে এই যাত্রায়ই স্ট্র্যাটেজিক বা কৌশলগত মাত্রায় যাবে, সেটি বুঝতে পারিনি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়, শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমার ধারণা কতটুকু সঠিক, তা পরিপূর্ণভাবে বোঝার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে, হয়তো এ বছরের শেষ পর্যন্ত। তবে যাত্রাটা জাপান থেকে ভালোভাবেই শুরু হলো, তা অন্তত নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর সর্বপূর্বের দেশ হলেও ভূ-রাজনীতির মেরুকরণে জাপান পশ্চিমা বলয়ের অন্যতম প্রভাবশালী নীতিনির্ধারকদের একজন। আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ২৫ এপ্রিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের জাপান সফরের সময় কী কী ঘটেছে তার ওপর সামান্য একটু নজর বোলাই, যদিও তা এখন সবার জানা হয়ে গেছে। ভারত ও চীনের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটি কৌশলগত পর্যায়ে উন্নত হলো। একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতায় কৌশলগত সম্পর্ক সেটিকেই বলা হয়, যেখানে দুটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতার যত রকম জায়গা বা ক্ষেত্র রয়েছে তার সব কিছু নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে, যার মধ্যে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গবেষণা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সফরের শেষ প্রান্তে যৌথ ঘোষণাপত্রে দুই দেশ কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। প্রতিরক্ষা স্মারকে দুই দেশ ঢাকা ও টোকিওতে নিজ নিজ দূতাবাসে প্রতিরক্ষা শাখা খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রটি আরো সম্প্রসারিত হবে। প্রতিরক্ষা ছাড়াও কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন, শুল্কবিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা, জাহাজ ভাঙা শিল্প ও মেট্রো রেলবিষয়ক সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। জাপানের সহায়তায় নির্মিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পরিপূর্ণভাবে চালু হলে এর সুবিধা শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতও তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য কম খরচ ও কম সময়ে পণ্য পরিবহনসহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। নেপাল এবং ভুটানও এই বন্দরের সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে। জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের পথ আরো মসৃণ হবে।

বিশ্বব্যাংকের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান থেকে সরাসরি ওয়াশিংটনে যান। যে বিশ্বব্যাংক একসময় দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করেছে, সেই ব্যাংকের বোর্ড সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি প্যানেল আলোচনায়ও তিনি অংশ নিয়েছেন। আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নতুন নির্বাচিত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জার্জিয়েভা। ক্রিস্টালিনা বলেছেন, সব বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন (কালের কণ্ঠ, ১ মে ২০২৩)। প্রধানমন্ত্রীর সফরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য আট বিলিয়ন ডলারের সাহায্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যেটি চার কিস্তিতে আগামী চার বছরে প্রদান করা হবে এবং সম্মান ও সদিচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর আগেই ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তির জন্য ছাড়পত্র জারি করেছে। সুতরাং এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বেলায় বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিগত ব্যাপারে প্যারাডাইস শিফট লক্ষ করা যায়। বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও পশ্চিমা বিশ্বের ভূ-রাজনীতির যে হিসাব তার বাইরে একদম নয়। ১৯৭২ সাল থেকে গত ৫০ বছরে সব সরকারের সময়ই ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে এবং তার গভীরতা ও বিস্তৃতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সামরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে আমেরিকা-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। উগ্রবাদী সশস্ত্র জঙ্গি দমনে দুই দেশের অবস্থানও একই রকম। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এককভাবে সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইদানীং আমাদের রেমিট্যান্সের এক নম্বর সোর্স হয়ে উঠেছে আমেরিকা। গত ৫০-৫১ বছরে কোনো কোনো ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের বোঝাপড়ায় কখনো কখনো একটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরিত বার্তাটি জয় বাংলা স্লোগানের মাধ্যমে শেষ করা হযেছে, যার মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একটা বার্তা পাওয়া যায়। মার্কিন প্রশাসনের ইতিবাচক বার্তা ও জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন এবং বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির মিশ্রণ দেখে মনে হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমা বলয়ের সম্পর্কটি নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় টার্নিং পয়েন্ট।

এই অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে ২১ বছরে মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়াকে যেমন একটি টেকসই উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করে গেছেন, তেমনি ২০ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সে রকম একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি করেছেন তার বাস্তবায়ন করে যেতে পারবেন কি পারবেন না। ১৭ কোটি জন-অধ্যুষিত দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং টেকসই উন্নয়নশীল আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ উগ্রবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভারত, চীনসহ পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থের জন্য অপরিহার্য। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে, সেটিই স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থা নিয়ে ঢাকাস্থ কোনো দূতাবাস ও দেশ কোনো কথা বলবে না, এটি এরই মধ্যে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু চায়। কিন্তু আন্দোলনের নামে জননিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা যেন লঙ্ঘিত না হয় তার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবাইকে তারা স্পষ্ট বার্ত দিয়েছে বলে শোনা যায়।

বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ২০০১-০৬ মেয়াদে যেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পরবর্তী আফগানিস্তান হতে চলেছে বাংলাদেশ, আর সেখানে আজকে সব শক্তিশালী রাষ্ট্রেরও মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির আকর্ষণীয় স্থান বাংলাদেশ। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা আজ আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত, যার নিদর্শন সাম্প্রতিক সব ঘটনা, যার কিছু এরই মধ্যে উল্লেখ করেছি। রাজনীতি ও তার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব-প্রতিযোগিতা, তাইওয়ান ঘিরে সামরিক উত্তেজনা এবং সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিকে চীন ভার্সেস আমেরিকাকেন্দ্রিক মেরুকরণ, এমন এক সংঘাত উন্মুখ জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সময়ে ভারত, চীন ও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছেন। কিভাবে পারলেন, তা বোঝার জন্য গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো খাতে কী পরিবর্তন ঘটেছে তার দিকে নজর দিতে হবে।

যোগ্যতা ও সক্ষমতা না থাকলে কেউ মর্যাদা দেয় না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভিক্ষুক জাতির কোনো সম্মান নেই। প্রতিবছর বাজেটের আগে ব্রিফকেস নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে এখন আর সাহায্যের জন্য দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে অনুনয়-বিনয় করতে হয় না, প্যারিস কনসোর্টিয়াম নামে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দেওয়ার জন্য যে সংস্থা ছিল, তা এখন ইতিহাসের পাতায়। ভাতের পরিবর্তে মানুষকে পাতাকপি খাওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে উপদেশ দিতে হয় না। ২০০৯ সালে যেখানে প্রায় সোয়া কোটি মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, সেখানে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে বড় এক মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাদ্যজাতীয় ও ভোগ্য পণ্যের বড় এক বাজার গড়ে উঠেছে, যা আগামী দিনে আরো সম্প্রসারিত হবে। মধু থাকলে মৌমাছি যেমন এমনিতেই আসে, তেমনি আগামী দিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বড় বাজার ধরার জন্য বড় বিনিয়োগকারীরা আসবে, ওয়ালমার্ট আর স্টারবার্গ কফি শপ বাংলাদেশে আসার জন্য এখন উন্মুখ। জাপান এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশসহ ভারতের বাজার ধরার জন্য বাংলাদেশকে তারা বড় ধরনের উৎপাদনমুখী কারখানা করবে। সব কিছুর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জরুরি।

শান্তি ও নিরাপত্তার এক নম্বর হুমকি উগ্রবাদী ইসলামিস্ট সশস্ত্র জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অঙ্গনের উদাহরণ। নিরাপত্তা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অপরিহার্য। এই জায়গায় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম আজ বিদ্যুৎ এবং পাকা সড়ক দ্বারা সংযুক্ত। অচিরেই মোংলা বন্দর রেল যোগাযোগের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে মাতারবাড়ী, চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কের আওতায় শুধু বাংলাদেশই উপকৃত হবে না, পশ্চিম দিকে যশোর থেকে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া আর পূর্বদিকে মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া হয়ে ভিয়েতনাম পর্যন্ত রেলপথে যে বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি তৈরি হতে চলেছে, তার ভরকেন্দ্র হবে বাংলাদেশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়সহ দেশের অভ্যন্তরে কত বড় কর্মতৎপরতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং গত ১৪ বছরে দেশের অভ্যন্তরে যে পরিবর্তন ঘটেছে তার ফলেই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনাময় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে।

লেখক: মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) – রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ