1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অবমূল্যায়ন শুধু পাপ নয়, মহাপাপও

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২

কোনো রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও কর্মসূচির ভিত্তিতে সংগঠিত জনসমষ্টির প্রকৃষ্ট সমর্থনে রাজনৈতিক দলের উন্মেষ ঘটে।

গঠনমূলক রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা-বাস্তবায়নে প্রায়োগিক কৌশল নির্ধারণ করে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠন এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনস্বার্থে প্রতিশ্রুত কর্মযজ্ঞ সম্পাদন সাধারণত রাজনৈতিক দলের মুখ্য উদ্দেশ্য।

সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পবিত্র সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিধিবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন-জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রণিধানযোগ্য অনুষঙ্গ।

স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি সংহার করে গণমতামতনির্ভর গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের মধ্যেই স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তার সফলতা নিহিত। রাজনৈতিক চেতনা-শিক্ষা-পরিশীলিত আচার-আচরণের প্রসার ও শিষ্টাচারবহির্ভূত কার্যকলাপ পরিহারে জনমতের সমৃদ্ধিকরণ গঠনমূলক রাজনীতির ব্যঞ্জনা তৈরি করে।

ব্যক্তির মতামত ও সামষ্টিক মূল্যায়নে স্বাধীনচেতা-দেশপ্রেমিক-সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে অকুতোভয় নির্ভীকতায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণই রাজনীতির পবিত্রতম প্রপঞ্চ। দলীয় আনুগত্যের বিপরীতে জাতিরাষ্ট্রের প্রতি আদর্শিক আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনীতির উৎসস্থল।

বর্তমানে রাজনীতির আবরণে অর্থ-ক্ষমতালিপ্সু কথিত রাজনীতিকদের নরপশুতুল্য বিবেকবর্জিত অবৈধ বাণিজ্য-ভূমিদখল-প্রভাব বিস্তারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহর-নগরের প্রতিটি অলিগলিতে প্রোৎসাহিত হিংস্র বাহিনীর তাণ্ডব-দুর্ধর্ষ কর্মকাণ্ডে জনজীবন নিষ্প্রভ-নিরীহ-প্রাণস্পন্দনহীন রূপ পরিগ্রহ করে চলেছে।

আত্মসংযম-আত্মসমালোচনা-আত্মশুদ্ধির সব শুভ উদ্যোগ প্রচণ্ড ভ্রুক্ষেপে দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পূর্বে এটি দুটি বিপরীত দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে হলেও বর্তমানে আন্তঃদল বা গোষ্ঠীতে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে দলের পদ-পদবি আদায়, ভূমি-ব্যবসা-বাণিজ্যের জবরদখল, চাঁদা-টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি-হাটের ইজারাসহ বিভিন্ন অবৈধ-অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় নিজেদের কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে এহেন হত্যাকাণ্ডসহ নানামুখী ভয়ংকর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

জাতীয় নির্বাচনসহ যে কোনো নির্বাচনের আগে এর ঘৃণ্য ব্যাপকতা অধিকমাত্রায় প্রসারিত হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থার তথ্যমতে, অধিকাংশ রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। অপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশে চলছে দুর্বৃত্তায়ন। আদর্শিক রাজনীতির অভাবে প্রতিপক্ষ দল ছাড়াও নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত-বিরোধ-বিচ্ছেদ প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান।

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বজ্রকঠিন নির্দেশগুলো নতুন করে জাতিকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে নিবিড় অনুসরণ ও অনুশীলন আবশ্যক। কঠোর আত্মসংযম-আত্মনির্ভরশীল-আত্মোপলব্ধির শিক্ষায় মনোযোগী হওয়ার প্রচণ্ড তাগিদ-আকর্ষণ এখনো নিগূঢ় অনুভূত।

১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মী ভাইয়েরা, কোনো দিন তোমরা আমার কথা ফেলো নাই।

জীবনে আমি কোনো দিন কনটেস্ট করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা প্রেসিডেন্ট হই নাই। কোনো দিন স্বার্থে অন্ধ হয়ে তোমাদের ডাক দেই নাই। কোনো দিন কোনো লোভের বশবর্তী হয়ে কোনো শয়তানের কাছে মাথা নত করি নাই। কোনো দিন ফাঁসির কাষ্ঠে বসেও বাংলার মানুষের সঙ্গে বেঈমানি করি নাই।…আমি বিশ্বাস করি, তোমরা আমার কথা শুনবা, তোমরা আত্মসমালোচনা করো, আত্মসংযম করো।

তোমরা আত্মশুদ্ধি করো। তাহলেই দেশের মঙ্গল করতে পারবা।…কিন্তু কিছু কিছু লোক যখন মধু-মক্ষিকার গন্ধ পায়, তখন তারা এসে আওয়ামী লীগে ভিড় জমায়।

আওয়ামী লীগের নামে লুটতরাজ করে। পারমিট নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা, আওয়ামী লীগ থেকে তাদের উৎখাত করে দিতে হবে-আওয়ামী লীগে থাকার তাদের অধিকার নেই। তাই বলছি, আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে, আজ আত্মসংযমের প্রয়োজন আছে, আজ আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন আছে।’

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভিন্ন কোন্দল-প্রতিহিংসা-অর্থ-ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতি পরিত্যাজ্যে জনগণের যথার্থ কল্যাণ সাধনে সবার হৃদয় গভীরে প্রোথিত হওয়ার মানসে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা বাস্তবিকই সময়োপযোগী।

বর্ণচোরা-ছদ্মবেশী-অনুপ্রবেশকারী, বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কুশীলব-বশংবদরা বিভিন্ন অপকৌশল-ছলচাতুরী-অনৈতিক অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দল ও সরকারের মধ্যে প্রচণ্ড শক্তিমান হয়েছে বলে প্রবল জনশ্রুতি রয়েছে।

বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের অনেকের মতে, অন্ধকারের পরাজিত অশুভশক্তি ও তাদের অনুসারীদের অবস্থান অপরিমেয় কদাচারে দেশকে যে কোনো মুহূর্তে পর্যুদস্ত করতে ইতোমধ্যে সক্ষমতা অর্জন করেছে। সব অভিশপ্ত আবেগ তাড়না-কর্ণাশ্রিত দোষারোপ-অসত্য অভিযোগে কল্পিত অভিমানে দুঃসময়ে জীবনঝুঁকির বিনিময়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের বিপরীতে অবমূল্যায়ন শুধু পাপ নয়, মহাপাপও বটে।

বস্তু-সত্যনিষ্ঠ তদন্তে প্রকৃত দলীয় আদর্শের ধারক-বাহক, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শিক অবিনাশী চেতনার ন্যূনতম বিচ্যুতি না ঘটিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরম ব্রত নিয়ে কঠিন জীবনযুদ্ধে পরাভূত; যথার্থ অর্থে তাদের আবিষ্কার-অবদান বিবেচনায় কোণঠাসা করার বিপরীতে যথোপযুক্ত পদ-পদায়ন ও মর্যাদাসীন করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব-বিভেদ নিরসনে দ্রুত দলকে তৃণমূল থেকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশনার পাশাপাশি দলের সবস্তরের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের তথ্য-প্রমাণের সঠিকতা যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘যারা বিভিন্ন জায়গায় দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে কাউকে কোনো ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না।’ তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে যারা লিখিত ক্ষমা চেয়েছেন, তাদের মাফ করে দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের পরামর্শও প্রদান করেন। সাংগঠনিক প্রতিবেদনে স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও দলের অন্য নেতাদের মধ্যে কোন্দল-দূরত্বের বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় এমপিদের খবরদারি করতে মানা করে তিনি বলেন, ‘এমপিরা এমপিত্ব করবে, দলও করবে। কিন্তু খবরদারি করবে না। নানা বাস্তবতায় আমরা এমপিদের মনোনয়ন দিয়ে থাকি। তার অর্থ এই নয় যে, তারাও দলে খবরদারি করবে। কমিটি কমিটির গতিতে চলবে। দলের ভেতর উপদল তৈরি করা যাবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দুর্দিনের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে।’

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা এমএ আজিজ ও নূরুল ইসলামের স্মরণসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের জন্যই দলটির কেউ ক্ষতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগে অনেক ত্যাগী নেতা ছিলেন বলেই দেশের সবচেয়ে পুরোনো এই রাজনৈতিক দলের ওপর বারবার আঘাত করেও কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। নেতারা দলীয় আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী এবং তারা অর্থ-সম্পদ কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেননি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য দলের সব ত্যাগী নেতার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ পরবর্তীকালে দলীয় বহু সভায় বিভাগীয়-জেলা-উপজেলাসহ সবস্তরের সাংগঠনিক কমিটিতে দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়নের তাগিদ দিয়েছেন।

বিজ্ঞজনের মতে, সোনার বাংলা বিনির্মাণে সোনার মানুষ বা সৎ-যোগ্য-মেধাবী মানবসম্পদ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেকটুকু পিছিয়ে আছে। এখনো প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী-নীতিনৈতিকতায়-সততায়-দেশপ্রেমের অনন্য প্রতীক হিসাবে যারা পরীক্ষিত; তাদের মূল্যায়ন অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরমভাবে উপেক্ষিত। ব্যক্তিস্বার্থে নিয়োজিত কদর্য চরিত্রের বর্ণচোরা-অনুপ্রবেশকারী-অন্ধকারের শক্তির সঙ্গে অদৃশ্য যোগসাজশ বা আপসকামিতায় পারদর্শী কথিত রাজনীতিক-ব্যবসায়ী-পেশাজীবী ব্যক্তিদের কুৎসিত মনোবৃত্তিকে পরাস্ত করা সব নিবন্ধিত দল-সরকার-দেশবাসীর পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। সব স্তরের নির্মোহ ও ত্যাগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়নের মোড়কে অপাঙ্ক্তেয়-বিতর্কিত-অযাচিত-দোষী সাব্যস্ত করার সব অসৎ উদ্দেশ্য সংহার করে প্রান্তিক ও ন্যায়পরায়ণতায় অবিচল ব্যক্তিবর্গকে যথাযোগ্য মূল্যায়নে যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত করা না হলে জাতি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না; ভবিষ্যৎকে আলোকময় করার সব সৎ উদ্যোগও বিফলে যাবে।

লোভ-লালসা, স্বজন-পরিবার-অঞ্চল-বন্ধুপ্রীতি, তদবির-লবিং-ম্যানেজ অপসংস্কৃতির আড়ালে উচ্চ থেকে নিু পর্যন্ত শিক্ষা-বাণিজ্য-ভূমি-হাসপাতাল-ব্যাংক-গণমাধ্যমসহ সমুদয় সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ধনসম্পদ-প্রতিপত্তিকে অতিশয় শক্তিমান করার ব্যক্তিবিশেষের সীমাহীন কুপ্রবৃত্তি সভ্য সমাজ অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে অবলোকন করছে। সবকিছু গিলে খাওয়ার এ অসমপ্রবণতা ও হীনপন্থার দৃষ্টান্ত নির্মাণ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য। অন্যথায় ব্যর্থতার দায়ে আগামী প্রজন্মের কাঠগড়ায় আমাদের অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় ক্ষেত্রে সত্য-সুন্দর-কল্যাণ-আনন্দের অনুষঙ্গগুলো যথার্থ পরিচর্যা এবং চলমান পরিস্থিতির উত্তরণে পরিপূর্ণ অনুধাবনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচ্য হওয়া অতীব জরুরি। বিরাজিত প্রতিকূল সমস্যাগুলো যথাযথ উপলব্ধিতে আনা না হলে অতিমারির চেয়েও ভয়ংকর অত্যাসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো দেশসহ পুরোবিশ্বকে লন্ডভন্ড করার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত পথপরিক্রমায় জাতিকে পরিচালনা করা সময়ের জোর দাবি হিসাবে বিবেচ্য।

সার্বিক উন্নয়ন-চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের দায়ভার কোনোভাবেই অবহেলিত হতে পারে না।

অব্যাহত করোনা পরিস্থিতিসহ নানাবিধ দুর্যোগ-দুর্ভোগ ব্যবস্থাপনায় সার্থক ও সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় আদর্শের মৌলিক স্তম্ভগুলোকে জাতির পরিশুদ্ধ মননে প্রোথিত-প্রোৎসাহিত করার উদ্যোগ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে অনিবার্য পরিণতি দেশ অন্ধকারের গহ্বরে কোন পর্যায়ে নিমজ্জিত হবে, তার প্রায়োগিক বিশ্লেষণ ও প্রাক্কলন নির্ধারণ করার সময় মনে হয় দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে।

লেখক : ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী – সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ