1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কাজ করেনি জিপিএস-রাডার, টাইটানিকেই পাশেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

আটলান্টিক মহাসাগরে বিশ্বের জনপ্রিয় জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে মারাত্মক পরিণতির শিকার হলো সাবমেরিন টাইটান। গত ১৮ জুন প্রথম শোনা যায় আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট নিচে রয়েছে এ ডুবোযানটি। যদিও একটানা উদ্ধারকার্য চললেও খোঁজ পাওয়া যায়নি টাইটানের।

জানা গেছে, অক্সিজেনের সাপ্লাই শেষ হওয়ার আগেই অভিযাত্রীদের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিল উদ্ধারকারী দল। কিন্তু যাবতীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েও পাওয়া গেল না এ ডুবোযানটি। কাজ করেনি জিপিএস ও রাডার। এ দুই প্রযুক্তি কাজে দিলে হয়ত অনেক আগেই সাবমেরিনের খোঁজ পেয়ে যেত মার্কিন কোস্ট গার্ড। ভূমিপৃষ্ঠের ওপর কাজ করলেও পানির নিচে কাজ করে না জিপিএস। এর কারণ হল আণবিক স্তর। প্রতি ঘন ইঞ্চি বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত ৪.৪×১২০০ অণু। যেখানে পানিতে প্রতি ঘন ইঞ্চিতে রয়েছে ৫×১০২৩ অণু। যার ফলে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গগুলো ব্যবহার করে জিপিএস ও রাডার তা পানিই শোষণ করে নেয়।

ঠিক একই কারণে সূর্যের আলো সমুদ্রের গভীরতম স্থানে পৌঁছতে পারে না, কারণ সূর্যের আলোতেও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ রয়েছে। তবে যোগাযোগ রাখার জন্য আরও একটি বিকল্প উপায় ব্যবহার করা হয় জাহাজগুলোতে।

এ উপায়ের নাম হলো সোনার (সাউন্ড ন্যাভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিইং)। যেখানে শব্দের সংকেত ব্যবহার করে যোগাযোগ রাখা হয়। পানির গভীরে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ না পৌঁছলেও শব্দের সংকেত পানির মধ্যে হারায় না। শব্দ তার সংকেত না হারিয়েই হাজার হাজার কি.মি ভ্রমণ করতে পারে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। এর মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গের তারতম্য শনাক্ত করে উক্ত বস্তুর অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। জানা গেছে, টাইটান সাবমেরিনের জন্য যে জাহাজ এবং বিমান উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে, তারাও এ প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেখেছে।

এদিকে সোনার প্রযুক্তি পানির নিচে ন্যাভিগেশনের কাজ করলেও সমুদ্রের একদম গভীরে পৌঁছতে পারে না। সংবাদমাধ্যমে ওয়্যারড-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনার ইকুইপমেন্ট সর্বোচ্চ ৬,৬০০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। তাই টাইটানকে ধরা এ প্রযুক্তির পক্ষে সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, পর্যটন সাবমেরিন টাইটানের খোঁজ পেয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। টাইটানিক জাহাজের কাছেই পাওয়া গেছে এ ডুবোযানের হদিশ। আরও বলা হয়েছে, টাইটানে যে পাঁচজন অভিযাত্রী ছিলেন তাদের সবাই মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, দুইজন ক্রু এবং তিনজন সাধারণ যাত্রীসহ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেয় ওশেনগেটের ডুবোযান টাইটান। উদ্দেশ্য ছিল সাগরের ১২ হাজার ফুট নিচে পড়ে থাকা জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখা। কিন্তু এ যাত্রা শুরুর মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ