1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ওডেসা, জেগে ওঠো, নাশ করো অমঙ্গলের তাণ্ডব 

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

আজকাল ওডেসা নামটি প্রায়শই শোনা যায়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর আগেও বহুবার ওডেসার নাম শুনেছি- একেবারেই ভিন্ন কারণে। দীর্ঘদিন ধরেই ওডেসা বিখ্যাত বন্দর। রাশিয়ার জার শাসনামলেও এই বন্দরের অপরিসীম গুরুত্ব ছিল। ১৯২৫ সালে নির্মিত সের্গেই আইজেনস্টাইনের জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘দ্য ব্যাটলশিপ পটেমকিন’-এর একটি উল্লেখযোগ্য দৃশ্য ছিল ওডেসায়। বিখ্যাত সেই দৃশ্যটি ওডেসার সিঁড়ির- যার চালচ্চৈত্রিক শিল্পমূল্য অনন্য! সিঁড়ির ধাপ বেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে শিশুসহ একটি ‘পুশ-চেয়ার’ ওপর থেকে নিচের দিকে পড়তে থাকে- দর্শক উৎকণ্ঠিত হয়। ‘ওডেসার সিঁড়ি’ নিয়ে আজও চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের ভাবনার অন্ত নেই! বিগত শতাব্দীর চলচ্চিত্র ইতিহাসে ‘ওডেসার সিঁড়ি’ একটি গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট হিসেবে পঠিত হয়েছে।

গত শতাব্দীর কত মানুষ, কত শিল্পবোদ্ধা ওডেসা সিড়ির তাৎপর্য নিয়ে ভাবিত হয়েছেন তার ইয়ত্ত্বা নেই! ইয়ত্ত্বা নেই বিশ্বব্যাপী কত মানুষ ওডেসার এই দৃশ্য নিয়ে তর্কবিতর্কে চায়ের টেবিলে ঝড় তুলেছেন, ঝড় তুলেছেন চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে! সে সময় আলোচনার ঝড়ে নতুনরূপে ঠাঁই করে নিয়েছিল আইজেনস্টাইকৃত মন্তাজ নামের সম্পাদনা তত্ত্ব। কেননা, এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই আইজেনস্টাইনের মন্তাজতত্ত্ব পুদভকিনের পূর্বতন তাত্ত্বিক কাঠামো থেকে থেকে বেরিয়ে আসে। পুদভকিনের মন্তাজতত্ত্বকে বাতিল করে আইজেনস্টাইন নতুন ফর্মুলায় দৃষ্টান্তসহ তা বুঝিয়েও দেন।

সাম্প্রতিককালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিগত শতাব্দীর আরেকটি যুদ্ধের কথা যেমন মনে করিয়ে দেয়, তেমনি মনে করিয়ে দেয় তৎকালের নতুন শিল্প মাধ্যম হিসেবে বহুল প্রশংসিত ‘যুদ্ধ জাহাজ পটেমকিন’ চলচ্চিত্রের কথাও। আর শুরুতেই যেমন বলেছি ওডেসার কথা, সেই ওডেসার কথাও মনে করিয়ে দেয়। ওডেসা সিঁড়ির শিল্পমূল্য নিয়ে সমালোচকদের বহুমাত্রিক চিন্তার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছিল। আজ বাস্তবের ওডেসা নিয়ে আমরা শংকা ও আতংকে আছি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আতংক! ইতোমধ্যে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সেই বিখ্যাত ওডেসার বুকেই মর্মান্তিক আঘাত হেনেছে। কী নগ্ন এই আঘাত, কী এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার এই আঘাত! শতবর্ষ পুরোনো চলচ্চিত্রের ওডেসার সাথে বাস্তবের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত ওডেসারও বিস্ময়কর মিল রয়েছে!

খাদ্যশস্য রপ্তপানির জন্য বিশ্বের অন্যতম বন্দর ওডেসা। সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় বৈশ্বিক যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেই অস্থির উপলব্ধির সাথে আমাদের শিল্পভাবনাজাত ওডেসার মিল খুবই কম! একটি যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী যখন খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তীব্র করে তোলে তখন বাস্তবের চপেটাঘাত যতটা নৈকট্য আনে শৈল্পিক দ্যোতনা ততটা সক্রিয়রূপে মানুষকে ধরা দেয় না। গত পাঁচ মাসের চলমান যুদ্ধে বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন অন্তত একটি বিষয়ে মতৈক্যে উপনীত হয়েছে যে, ইউক্রেন থেকে সমুদ্রপথে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়া কোনো বাধা দিবে না। জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক সমঝোতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে রাশিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা ওডেসাসহ তিনটি বন্দর থেকে খাদ্যশস্য বহনকারী কোনো মালবাহী জাহাজের ওপর আক্রমণ করবে না। কিন্তু দুঃখজনক যে, চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার আগেই ওডেসা বন্দরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সংঘটিত হয়েছে। সে হামলায় ওডেসা বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সম্প্রতি সম্পাদিত হওয়া এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ও দিখা দিয়েছে।

ইউক্রেন তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, যদি খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি ভেস্তে যায় তবে তার জন্য রাশিয়া দায়ী থাকবে। ওডেসার স্থানীয় এমপি ওলেক্সি হোনচারেঙ্কো আক্ষেপের সঙ্গে টেলিগ্রামে লিখেছেন ‘ঘৃণ্য ওই লোকদের এক হাতে চুক্তি এবং আরেক হাতে ক্ষেপণাস্ত্র! এ কারণে আমাদের বিমান প্রয়োজন এবং কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার যতো নৌবহর আছে সেগুলোকে ডুবিয়ে দিতে হবে। খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা।’ অর্থাৎ কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত এই চুক্তি গত ২২ জুলাই স্বাক্ষর হয়েছে বটে কিন্তু স্বস্তির জায়গা এখনো তৈরি হয়নি। ইউক্রেনে আটকাপড়া কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য এই চুক্তির আলোকে রপ্তানির সুযোগ পাবে। কিন্তু ওডেসা বন্দরে হামলার ফলে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নষ্ট হলে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে খাদ্য সঙ্কট আরও তীব্র হবে।

জাতিসংঘ ও তুরস্ক একটি ঐতিহাসিক এবং ক্রান্তিকালীন-সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করেছে বলে বিশ্বমানবতার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ তারা ধন্যবাদার্হ। পাঁচ মাস রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় খাদপণ্য রপ্তানিতে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল অনেকেই আশা করছেন বর্ণিত চুক্তির ফলে সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। তবে, চুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিয়ে নানা সন্দেহ, নানা অবিশ্বাস থাকলেও আমরা আশাবাদী থাকতে চাই। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে তাদের অবরোধ শিথিল করবে ফলে ইউক্রেন থেকে বিভিন্ন দেশে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির পথ সুগম হবে। শুধু ইউক্রেনই নয়- এই চুক্তির ফলে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য রপ্তানিও সহজ হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বাংলাদেশের জন্য আদৌ কোনো শুভ ইংগিত আছে কী? এমন প্রশ্নের জবাব হলো বিশ্বের যে কোনো ঘটনার প্রভাবই বাংলাদেশকে স্পর্শ করে। যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে আমাদের দেশে যেমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো ঘটনা ঘটে তেমনি সম্প্রতি সম্পাদিত চুক্তির ইতিবাচক প্রভাবও আমাদেরকে অবশ্যই স্পর্শ করবে। ২২ জুুলাই চুক্তি স্বাক্ষরের খবরেই বিশ্ব বাজারে গমের মূল্য কমে গেছে ৩%! খাদ্যপণ্যের এই দর-পতন পরপর কয়েক দিন অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশও সে সুবিধা প্রাপ্ত হবে সন্দেহ নেই। অর্থাৎ চুক্তির ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের। কেননা, বাংলাদেশের ৬০% গম আমদানি করা হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। তবে উভয় দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা থাকায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন কিংবা ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নিয়েও বিস্তর সঙ্কট ও সংশয় আছে। চুুক্তি বাস্তবায়ন না হলে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার অনেক দেশের বিদ্যমান খাদ্য সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

বিশেষজ্ঞগণ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানির পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে গম রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে গম ও গমজাত পণ্যের জনপ্রিয়তা থাকায় গমের আমদানি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একদা যেখানে ১৪ লাখ টন গম আমদানি করলেই চলত বর্তমানে সেখানে আমদানি করতে হয় ৭৫ লাখ টন (২০২০-২০২১)। জানা যায় বিশ্বের গম আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আমদানির উৎস রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ভারত।

বিগত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও সরবরাহ চেইনও বন্ধ হয়ে যায়। যার মারাত্মক প্রভাব পড়তে থাকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশসমূহে। এরূপ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত রাশিয়া-ইউক্রেনের চুক্তি বিশ্ববাসীকে আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। আবার চুক্তির প্রভাব বিশ্ব বাজারে পড়ায় আমাদের হতাশাও কাটতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চার মাসের জন্য সম্পাদিত হলেও এ চুক্তি নবায়ণের সুযোগও রাখা হয়েছে। এটি আমাদেরকে আশাবাদী করে। খাদ্যপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দুটি দেশ বিবদমান যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে এ চুক্তি করলেও এর আশাব্যঞ্জক তাৎপর্য আমাদের মনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে। ইতোমধ্যে স্বস্তির কিছুটা নমুনা বিশ্ব বাজারেও দেখা গেছে।

বাংলাদেশ রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে সরাসরি খাদ্যপণ্য আমদানি না করলেও বিশ্ব বাজারের স্বস্তিদায়ক প্রভাব আমাদের বাজারেও পড়বে। পরোক্ষভাবে হলেও আমরা উপকৃত হবো সে বিষয়ে বাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকগণ ঐকমত্য পোষণ করছেন। কিন্তু আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভাবনায় মাঝেমধ্যে মুষড়ে পড়ি- মুষড়ে পড়ি এই ভেবে যে, যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি আরও দীর্ঘ হয়, আরও ভয়ানক আকার ধারণ করে, খাদ্য ও জ্বালানিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের সঙ্কট যদি আরও ঘনীভূত হয় তখন কী হবে! সুতরাং সেসব কথা বিবেচনায় নিয়েও আমাদের পথ চলতে হবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে কূটনৈতিক কৌশল কাজে লাগিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতে গম আমদানির পথ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ সাধারণত তৃতীয় দেশের সরবরাহকারীর মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে প্রায় ৯০% গম আমদানি করে। শোনা যাচ্ছে তাদের সাথে যোগাযোগও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা অনেক, যুদ্ধও চলমান। সুতরাং আমাদেরকে কৌশলী হতে হবে। চুক্তিতে তিনটি বন্দরের মাধ্যমে খাদ্য সরবারাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তন্মধ্যে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসা বন্দরের গুদামেই নাকি দুই কোটি টনের অধিক খাদ্যশস্য মজুত আছে। এখন জরুরি ওডসাকে সচল ও সক্রিয় করে তোলা।

আশা করবো, ওডেসা বন্দর আবার সচল ও সক্রিয় হবে। ওডেসা তার সক্রিয়তা প্রমাণের সুযোগ নিবে এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ আফ্রিকার যেসব দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে তার প্রতিকারে ওডেসা ভূমিকা রাখবে। যুদ্ধের কালো হাতছানি ওডেসা বন্দরকে আর যেন নিষ্প্রাণ না করে। ওডেসার খাদ্যেই প্রাণ ফিরে আসুক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে। আফ্রিকার লক্ষ-কোটি শিশুর মুখে হাসি ফুটুক ওডেসা বন্দরের সরবরাহ করা খাদ্যপণ্যে।
ওডেসার ভাগ্যে নিয়তির কী নির্মমতা! যে ‘দ্য ব্যাটলশিপ পটেমকিন’ চলচ্চিত্রটির কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেখানেও ওডেসা ছিল যুদ্ধের শিকার! বিগত শতাব্দীর যুদ্ধের ভয়ঙ্কর চিত্ররূপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওডেসা! শতবর্ষ পেরিয়েও ওডেসা তার ‘ললাট লিখন’ থেকে যুদ্ধের আঘাত এড়াতে পারল না- পারছেনা! কোটি-কোটি অভুক্ত মানুষের আহার বুকে নিয়েও ওডেসা অনেকটাই নিথর, নিস্তব্ধ! যুদ্ধ এসে তার পথ আগলে দাঁড়িয়েছে! ওডেসা তার বুকের ধন নিয়ে পৌঁছুতে পারছে না মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফ্রিকার অনাহারী শিশুদের কাছে! খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কটে বিশ্বকে টালমাটাল করে দেওয়া এমন যুদ্ধ কে চায়! ওডেসার দিকে তাকিয়ে মানবতা জয়ী হোক, অমানবিক যুদ্ধ পাক লজ্জা! অমঙ্গলের সব তাণ্ডব বিনাশ করে জেগে উঠুক ওডেসা।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ