নিজ বাসভবনে আসামি কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে আশ্রয় ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান।
হারুন অর রশীদ বলেন, ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশকে নুর গালিগালাজ করেছেন। পুলিশকে ঢুকতে দেননি। খারাপ ব্যবহার করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন, আমরা মনে করি এটা আইনগত নয়। সেই কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, পুলিশকে সহযোগিতা করা সব নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পুলিশ যখন আইনগতভাবে সহযোগিতা চায়, পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করে। কারণ পুলিশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একমাত্র শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। পুলিশ মানুষের সেবা করে, জানমালের নিরাপত্তা দেয়। পুলিশ মানুষের সেবার ব্রত নিয়েই কাজ করে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশকে স্মরণ করে মানুষ।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম নুর একজন মেধাবী ছাত্রনেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ভিপি। তার উচিত ছিল আসামিকে ধরিয়ে দেওয়া। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা পরিচয় দেওয়ার পরও, থানা থেকে এসেছি। নুর তাদের চিনেও, কারণ অনেক পুলিশ অফিসার ছিল যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারপরও আপনারা দেখেছেন পুলিশকে ডাকাত পরিচয়, পুলিশ বস্তির লোক। আরও নানান ধরনের মন্তব্য করেছেন। আমি মনে করি, একজন নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে নুরের কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করিনি। নুর এত কিছু বলার পরেও আমরা সহমর্মিতার পরিচয় দিয়েছি। তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছি এবং তার রুম থেকেই আমরা আসামিকে গ্রেফতার করেছি।
তিনি বলেন, আইনের বাইরে আমরা কিছুই করিনি। নিজ বাসভবনে এক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় নুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দিনগত রাত ২টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসভবনে তল্লাশি চালায় ডিবি তল্লাশি। রাতেই ফেসবুক থেকে লাইভে এসেও এ বিষয় জানান নুর।
