1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জিয়ার সামরিক আদালত কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান বাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতের দেয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সে সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সে আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্য সব সুবিধাসহ পেনশন সুবিধা দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

ওই সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ বিমান বাহিনীর ১৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জনের পক্ষে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল রিট করা হয়।

দীর্ঘ দিন পর মঙ্গলবার রিট শুনানিতে আসে। এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, তার সঙ্গে ছিলেন মতিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রুলে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনীর প্রধানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান বলেন, ‘মার্শাল ল রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৭৭ দ্বারা সামরিক আদালতে জিয়াউর রহমান অন্যায়ভাবে বিচার করেছিলেন। সেই বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল, যাদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল এবং যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমান বাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য।

স্বৈরশাসক জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলেছিল, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা সাজা দেওয়া হয়েছিল।

রিটকারিদের মধ্যে গাজী গোলাম মওলা হিরু বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে করপোরাল হিসেবে চাকরিরত ছিলাম। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়া অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরিচ্যুত করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদ সাজা দেয়। আমাকে প্রথমে ফাঁসির হুকুম দেয়া হয়। পরে উইং কমান্ডার সাবের উদ্দিন আমাকে জানান, তার সুযোগ থাকায় পরে তা পরিবর্তন করে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে ৫ বছর কারাভোগ করি। এরপর সুলতান মাহমুদ যখন বিমান বাহিনীর প্রধান হন। তিনি এসে বলেন, এদেরকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরকে মুক্তি দেয়া হোক। তার নির্দেশেই আমরা মুক্তি লাভ করি।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ