1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশব্যাপী যোগান দিচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩

মৌসুমের শুরুতেই জমে উঠেছে ঝালকাঠির আমড়ার বাজার। জলে আর কূলে এখন তাজা আমড়ার সমারোহ। বরিশালের আমড়া নামে দেশব্যাপী সরবরাহ হওয়া এ সুস্বাদু ফলটির প্রধান যোগান দেয় দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠি। কৃষি বিভাগ বলছে, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলছে আমড়ার চাষ।

স্থানীয় চাষিরা জানায়, পেয়ারা শেষের পথে, শুরু হয়েছে আমড়ার বাজার। ভাদ্র মাসের শুরুতেই জমতে থাকে আমড়ার বেচাকেনা। চলে টানা দু’মাস। আর এ সময়টায় জলে কিংবা স্থলে ঝালকাঠি জেলা জুড়েই গ্রামে গ্রামে বসে আমড়ার বাজার। তবে সদর উপজেলার ভীমরুলি, শতদশকাঠি, ডুমুরিয়া, আতাসহ আশপাশের দশ গ্রামের আমড়ার ভাসমান বাজার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখান থেকেই নৌ-কিংবা সড়ক পথে সারাদেশে বেশিভাগ আমড়া সরবরাহ হয়।

দেশব্যাপী বরিশালের আমড়া নামে যা পরিচিত তার বেশিরভাগ যোগান হয় এখন এ জেলা থেকে। বর্তমানে মৌসুম শুরুতে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা মন দরে পাইকারি আমড়া কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ফড়িয়া-আড়ৎদাররা। মৌসুম শেষে দাম আরও বেড়ে যাবে। ফলে স্থানীয় কৃষক ও ব্যাপারীরা বেশ খুশি।

স্থানীয় শতদশকাঠি গ্রামের আমড়ার ব্যাপারী সুনিল হালদার বলেন, ‘মৌসুম কেবল শুরু হয়েছে। চলবে আরও দু’মাস। আমি ঢাকা ও চট্টগ্রামে আমড়া সরবরাহ করি। পুরো মৌসুমে আশি এক কোটি টাকার আমড়া সরবরাহ করবো।’

ভীমরুলি গ্রামের আমড়া চাষি হরিবর রায় বলেন, ‘আমড়া চাষ বেশ লাভজনক। একেকটি গাছে এক থেকে তিন হাজার টাকার আমড়া বিক্রি করা যায়। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় আমাদের অঞ্চলে দিন দিন আমড়ার চাষ বেড়ে চলছে।’
ঢাকার শ্যামবাজার থেকে আসা ফড়িয়া আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘আমি প্রতি বছরই ঝালকাঠি থেকে আমড়া কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। ঝালকাঠির আমড়া স্বাদ অন্য জেলার চেয়ে অনেক ভাল। এখানকার আমড়ার আকারও বেশ বড় এবং মিষ্টি স্বাদের।’
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশব্যাপী বরিশালের আমড়া নামে সরবরাহ হওয়া এ ফলটির বেশিরভাগ যোগান হয় ঝালকাঠি জেলা থেকে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় প্রতিবছর বেড়েই চলছে আমড়া চাষ। দ্রুত পচনশীল না হওয়ায় সংরক্ষণ ও ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সময় পাওয়া যায়। ফলে আমড়া চাষ বেশ ভালজনক। আর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আরও সহজ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের এ সুস্বাদু ফলটির সরবরাহ। রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণসহ আমড়া চাষে নিয়মিতভাবে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঝালকাঠি জেলায় এ বছর ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার ফলন হয়েছে। মৌসুম শেষে মোট উৎপাদন হবে ৪ হাজার ৮৭৪ মেট্রিকটন, যা বরিশাল বিভাগের অন্য জেলার চেয়ে বেশি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ