সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরোয় গঙ্গা অতি দূষণের ফলে যে সামান্য পরিমাণ ইলিশ ভারতীয় নদীগুলোতে যেতো তাও মুখ ফিরিয়ে বাংলাদেশের নদীতে চলে আসছে। ভৌগলিক কারনে এমনিতেই বাংলাদেশে বিশ্বের সবচাইতে বেশি ইলিশ আহরণ হয়, তার উপর ভারতীয় নদীতে দূষণের বাড়বাড়ন্ত অপরদিকে বাংলাদেশের নদীগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ফলে অবশিষ্ট ইলিশের ঝাঁকও বাংলাদেশে চলে আসছে।
এর ফলে দেশের নদীতে কয়েক গুণ বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে। বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ার খবর হরহামেশা পাওয়া যাচ্ছে।
এবার পায়রা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে আড়াই কেজি ওজনের বড় ইলিশ। বরগুনার তালতলীতে আড়তে নিয়ে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয় মাছটি। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আনোয়ার হোসেন নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি কেনেন। সকালে পায়রা নদীতে আকাব্বর মাঝি নামের এক জেলের জালে এ ইলিশ ধরা পড়ে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার ছোটবগী এলাকার তালুকদার কান্দা এলাকার জেলে আকাব্বর মাঝি নদীতে জাল ফেলেন। রাতে তেমন একটা মাছ না পাওয়ায় তিনি শনিবার ভোরে পুনরায় নদীতে জাল ফেলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে জাল তুলে দেখেন অন্য ইলিশের সঙ্গে বড় মাছটি ধরা পড়েছে।
এ মৌসুমেই বরগুনায় বড় আকৃতির ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জানান জেলেরা।
মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, গত দু-তিন বছরে আড়াই কেজির ইলিশ চোখে পড়েনি। সকালে বাজারে পায়রা নদীর এত বড় ইলিশ দেখে অবাক হয়ে যাই। তাই দেরি না করে দ্রুত মাছটি কিনে বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকি। কয়েকজন ফোন দিয়েছে সঠিক মূল্য পেলেই মাছটি বিক্রি করব।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম বলেন, এ মৌসুমে কয়েকটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে দুই কেজি ওজনের মাছ পাওয়া যায়নি বলে জানি। আজই প্রথম জানতে পারলাম আড়াই কেজি ওজনের ইলিশের কথা। তবে আমার ধারণা, এ মৌসুমে এ রকম বড় ইলিশ আরও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি আরও বলেন, পায়রা নদীতে বড় বড় ইলিশ পাওয়া আমাদের জন্য অনেক সুখবর বটে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল হলো এ বড় সাইজের ইলিশ। আর তাছাড়া আমাদের নদীগুলোর দূষণ কমায় ইলিশের ঝাঁক বেশি করে চলে আসছে।