1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বেলুনটি আর আকাশে উড়তে পারলো না!

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বেলুনটি যথেষ্ট ফুলবার আগেই ফুঁটো হয়ে গেল! অথচ কত ঢাক ঢোল পিটিয়ে, ঢেরা বাজিয়ে, রাজ্যের কত প্রান্তর থেকে কত কত লোক লস্কর জোগাড় করা হলো! এলো দেশি বিদেশি কত কত বাজনদার গাতক! একটি বেলুন ফোলানো হবে তার জন্য কত আয়োজন, কত কাণ্ড! সকলের সমস্বর আয়োজনের ভিড়ের মধ্যে বেলুনের ঢুকতে লাগলো এলোপাতাড়ি ফুঁ আর ফুঁ! বেলুন তো লোহার হয় না- নিতান্তই নরম পদার্থে গড়া! নরম পদার্থ বটে- কিন্তু টানলেই লম্বা হয়, ফুঁ দিলেই ফুলে ওঠে! কিন্তু রাজ্যের এত লোক লস্কর পাইক পেয়াদার ছোট ফুঁ, বড় ফুঁ, মাঝারি আকরের ফুঁ ওইটুকু বেলুন তার উদরে ধরবে কেমন করে! নিতান্ত সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ বেলুনটিই ফেটেই গেল! এত মিথ্যা, এত প্রতারণা এবং সর্বোপরি সত্যের চেয়ে বানোয়াট কল্প-কাহিনির চাপ বেলুনটি সহ্য করতে পারলোই না! ফলে তার আর ফোলবার ভাগ্য হলো না! ভাগ্য হলো না স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলে উড়বারও! ভাগ্যের বলি, বা অদৃষ্টের বলি এ যে কত নির্মম পরিহাস তাও উপলব্ধ হলো আমাদের! সকলের লড়াই-কুস্তি আর সম্মিলিত ফুঁ-য়ের ফুঁ-য়ের বাতাসে সৃষ্টি হলো টর্নেডো- টর্নেডোর তাণ্ডবে পরিপূর্ণ ফোলবার আগেই, বেলুনের সত্যি সত্যি ও পরিপূর্ণ রূপটি ধরার আগেই তার অপমৃত্যু ঘটলো! গ্রামীণ জীবনের একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘ইলিশ মাছ কি বিলে থাকে/ কিলালে কি কাঁঠাল পাকে?’ জোর করে যখন শত-সহস্র কাঁটাওয়ালা কাঁঠালই পাকানো যায় না তখন জোর-জবরদস্তি করে বেলুনের মতো নরম একটি জিনিস কী করে ফোলানো সম্ভব? যদিও খানিকটা নাগরিক গন্ধলাগা প্রবাদে বলা হয়ে থাকে ‘জোর যার মুলুক তার’- কিন্তু জোরের ফল সব সময় আরামদায়ক ও সুস্বাদু হয় না। জোর করে টানাটানিতে শক্ত রশিও মুহূর্তেই ছিঁড়ে যায়! সুতরাং মিথ্যা বেলুন ফোলানো নিয়ে যারা জোর-জবরদস্তি করলেন, কুস্তি-লড়াই করলেন বেলাশেষে তাদের মুখখানা মোটামুটি যা দেখার (!) মতোই হয়েছে তাতে হাসবো না কাঁদবো সে জ্ঞান বিলোপ পেয়ে গেছে!

গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এবং তার ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার সফর চলাকালে দেশে একপ্রকার প্রায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম! একে তো একদিকে শোকের মাস- তারপর একটি অহেতুক মনস্তাত্ত্বিক চাপ! সবাই মিশেলের কাছে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানানোর মাধ্যমে দেশে এক উত্তেজনা তৈরি করা হলো।

বিএনপি জানালো জাতিসংঘে তাদের দায়েরকৃত অভিযোগের মীমাংসা করতেই মিশেলের বাংলাদেশ সফর। ধন্য তাদের অভিযোগ, ধন্য তাদের সাফল্য! বিএনপির সমমনা এমনকি আদর্শিকভাবে বিরোধী হলেও কেবল শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর জন্য সবাই একই ছত্রতলে সমবেত হলেন! অভিযোগের ভুরি ভুরি ফাইলপত্তর নিয়ে ছুটলেন মিশেলের কাছে। মানবাধিকার রক্ষায় যারা কাজ করেন তারা তো ব্যাচেলেটের কাছে গেলেনই আরো গেলেন গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্য। পরিবেশ আন্দোলনের সাথে যুক্ত নেতারাও সুশীল সমাজের সঙ্গে গেলেন। মোটকথা, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকাকে যারা পছন্দ করেন না তারা গেলেন দলবেধে, সমারোহে। মিশেলের কাছে অভিযোগ-অনুযোগ জানানোর আগে ও পরে তারা নিজেদের মুখে খৈ ফোটালেন! আমজনতার কাছে এমন এক বার্তার বীজ তারা বুনে দিলেন যে, শেখ হাসিনার মতো ভিলেন কোনো নাটকে নেই, কোনো সিনেমায় নেই এমনকি কোনো দেশেও নেই! কী গভীর ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র!

মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরের তারিখ ঘোষণার পর আবারো সত্যমিথ্যা নানা প্রকারের দলিল দস্তাবেজ তৈরি করলেন তারা। শুধু দালিলিক কাগজপত্র নয়- তথ্যচিত্র আয়নাঘরও তৈরি করলেন তাকে দেখানোর জন্য! যেন বাংলাদেশে দিনে ২৪ ঘণ্টা মাসে ৩০ দিনই গুম খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে, ঘটে চলেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা! ফৌজদারি অপরাধের আসামীদেরকেও ‘মানবাধিকার’ লঙ্ঘনের আওতায় এনে সরকারের সমালোচনায় কল্পিত বেলুন ফোলাতে তৎপর হলেন! দল বেঁধে সার সার গেলেন সাক্ষাৎ করলেন মিশেলের সঙ্গে। জাতিসংঘে যে ৭৬ জনের গুম হওয়ার তালিকা তারা দিয়েছিলেন প্রমাণিত হয়েছে তার ২৮ জনই লোমহর্ষক বিভিন্ন মামলার দাগী আসামী- হয়তো নিজেরাই আত্মগোপনে রয়েছেন! হারিয়ে যাওয়ার পর ১০ জন ফেরৎ এসেছেন। এমন এক নারীর নামও তারা গুম হওয়ার তালিকায় দিয়েছেন যিনি পরিবার থেকে পালিয়ে বিয়ে করে সুখের সংসারে রয়েছেন! আরো যে ২২-২৫ জনের নাম দিয়েছেন যারা প্রায় ২০ বছর আগে গুম হয়েছেন- তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায়ই ছিলেন না! শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলনের সময় নিখোঁজ হওয়া ১০-১২ জনের নামও দিয়েছেন যারা পরে ফিরে এসে নিজগৃহে বসবাস করছেন!

অপরদিকে কিন্তু আওয়ামী লীগ বলছে এটি মিশেলের পূর্বপরিকল্পিত সফর। করোনার জন্য এ সফর বিলম্বিত। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদেরকে দুঃখ-দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার ইচ্ছা তার আগেই ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রেখে গেলেন। বাংলাদেশ সফরে আসলেন, গেলেন রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রেও। বিদায়ের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন। সপ্তাহব্যাপী সফরের পর তিনি ফিরে গেলেন।

বিএনপি ও তার সমমনা দলসহ মানবাধিকার সংগঠনের নেতকর্মী এবং সুশীল সমাজ মনে করেছিলেন খুব দ্রুতই জাতিসংঘ থেকে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর নানা রকমের ধারালো খড়গ বর্ষণ করবে! সরকারের আয়ু শেষ! তাদের ভাবনার বেলুন এভাবেই ফুলতে শুরু করেছিল। আস্তে আস্তে ফুলেছেও কিছুটা। কিন্তু ততদিনই তাদের স্বপ্নের বেলুন ফুলছিল যতদিন পর্যন্ত না মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ সফর সংক্রান্ত দাপ্তরিক বিবৃতি প্রদান করেছেন। অবশেষে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর সংশ্লিষ্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে যেসব দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় বা নিয়মিত হয়ে চলেছে সেরকম দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নামটি আমাদের সুশীল সমাজসহ বিএনপি ও অন্যান্যরা খুঁজেই পেলেন না!

এই প্রতিবেদনে প্রকারন্তারে বৈশ্বিক সঙ্কটের নানামুখী উত্তাপের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা রয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও রয়েছে।
বিএনপি ও তার নানা রঙের মিত্ররা আবারো নতুন এক স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় পড়েছেন। হতাশায় পড়েছেন বটে- কিন্তু যাদেরকে উজ্জীবিত করে দল ভারি করেছিলেন তাদেরকে বোঝাচ্ছেন তারা এরূপ প্রতিবেদনের কারণ জাতিসংঘে ইতোমধ্যেই জানতে চেয়েছেন। সাধারণের মনোবল চাঙা রাখার কত কৌশলই না করতে হয়! কিন্তু মিথ্যা ও ফাঁপা বুলিতে সাধারণের মনোবল দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বরং তা বুমেরাং হয়ে পড়ে! ব্যাচেলেটের সফর-পরবর্তী জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখে আমরা যেন তাই খানিকটা দেখতে পেলাম। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যেসব দেশে গুম বা খুনের মতো বিশেষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রয়েছে সেসব দেশের নামসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের উল্লেখ নেই। ৩১ আগস্ট হাইকমিশনার হিসেবে মিশিল ব্যাচেলেটের মেয়াদ শেষ করেছেন তাই ২৫ আগস্ট প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদন দেখে সাধারণের নিশ্চয়ই উপলব্ধি হবে যে, নেতারা তাদেরকে কতটা বিভ্রান্তির ঘোরের মধ্যে আটকে রাখেন!

এদিকে স্বাভাবিকভাবেই মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনে সরকার স্বস্তি লাভ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে অত্যন্ত দক্ষতার ও গভীরভাবে সাত-পাঁচ ভেবেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তাও প্রমাণ হলো। এতে শুধু সরকারই নয় আওয়ামী লীগও স্বস্তিতে আছে। নেতাকর্মীদের মধ্যেও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এটাই হলো বুমেরাং- অন্তত বিএনপি এবং তার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের জন্য। উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন : ‘মিশেল ব্যাচেলেট যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন আমরা তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তিনি আমাদেরকে আগে যে প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন আমরা তার ভিডিও উপস্থাপনা দেখিয়েছি। সরকার তাকে ৭৬টি গুমের বিষয়েও ব্যাখ্যা করেছে এবং সমস্ত প্রমাণ দেখে ব্যাচেলেট বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না।’

জাতিসংঘের ঐ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গ ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন মিশেল। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এরূপ সারমর্ম আমরা উপলব্ধি করি যে, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অর্জনসমূহও বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে। প্রতিবেদনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। মিশেল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের দুর্দশা ও অভিজ্ঞতার গল্প শুনেছেন। সবকিছু দেখেশুনে তিনি প্রতিবেদনে বলেছেন : ‘সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং পুরুষ মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত, নিপীড়িত অবস্থায় বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। মিয়ানমারের মানবাধিকার বিপর্যয় ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ এবং কাইনের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমে চীন রাজ্য এবং বার্মার কেন্দ্রস্থলে সাগাইং এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। সেখানকার গ্রাম ও আবাসিক এলাকায় বিমান ও কামানের ব্যবহার তীব্র হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির প্রবণতা থেকেও বোঝা যায় যে, দেশটির স্থিতিশীল এলকার প্রায় সর্বত্রই সশস্ত্র সংঘাতের পুনরাবৃত্তি মিয়ানমার এড়াতে পারেনি। সে দেশের রোহিঙ্গারাও তাতমাদও এবং আরাকান আর্মিদের সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য সেখানে মানবিক সহায়তা দরকার।’

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে মিশেল বলেন : ‘রাষ্ট্র পরিচালনা অনেক কঠিন কাজ। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবসময়ই নানা দাবি, সংকট ও সমস্যা থাকে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সব সঙ্কট অতিক্রম সম্ভব।’ তিনি বাংলাদেশসহ যেসব দেশ সফর করেছেন তার তার মধ্যে বুরকিনা ফাসো, নাইজার, আফগানিস্তান, চীন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, পেরু অন্যতম। তিনি তার মেয়াদকালে সফর করা বিভিন্ন দেশের যতজন মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপও প্রতিবেদনে যুক্ত করেছেন। তিনি আফগানিস্তানের নারী মানবাধিকার কর্মীদের সাহসের প্রশংসা করেছেন, মেক্সিকোর হারিয়ে যাওয়া মানুষের মায়েদের শক্ত মনোবলের কথা বলেছেন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের কথা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অবৈধ মাইনিংয়ের কারণে নানা ঝুঁকিতে থাকা পেরুর আদিবাসীদের অধিকারের কথা এবং বুরকিনা ফাসোতে অভ্যন্তরীণ বস্তিহারা মানুষের কথাও প্রতিবেদনে বলেছেন।

মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন : ‘আমরা তাকে যে উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম সেটি সফল হয়েছে। কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে এবং আমরা আশাকরি তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু শুধু বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকবেন।’ অর্থাৎ আমরা বুঝতে পারছি যে, বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিশেল বাংলাদেশে আসেননি এসেছিলেন সরকারের আমন্ত্রণে। মিশেলের বাংলাদেশ সফরে সরকার যদি সফল হয় তাহলে তো বলার অপক্ষোই রাখে না যে, বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে! ব্যর্থ হয়েছে তার সঙ্গীসাথিরাও। মিথ্যা ও কল্পনার বাতাসে বেলুন ফোলানোর চেষ্টা যেমন হাস্যকর তেমনি নিরর্থকও। কেননা প্রকৃত সত্যের সূঁচালো খোঁচার আঘাতে তা মুহূর্তেই চুপসে যায়- এটিই শাশ্বত বিধান! মিথ্যার বাতাসে ফোলানো বেলুন আকাশে উড়তে পারে না। ষড়যন্ত্র পরিহার ও বাস্তবতা উপলব্ধির মাধ্যমে সবার এগিয়ে চলা নিশ্চিত হোক। সবাই মিলে একটি সত্যের সাতরঙা বেলুন আকাশে উড়াই না কেন!

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ