‘রঙবিলাস’ জাতের আখ চাষে নাটোরের বড়াইগ্রামের সাড়ে ৩০০ কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। চিবিয়ে খাওয়া এই আখের বাজারে চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আখের পাশাপাশি একই জমিতে সাথি ফসলও আবাদ করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ১০ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্র নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামে চিবিয়ে খাওয়ার আখ ‘রঙবিলাস’ পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করে। এখন এই আখের চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বড়াইগ্রাম উপজেলার সাড়ে ৩০০ কৃষক এই আখ চাষ করে ভাগ্য বদলেছে।
মহিষভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলার অগ্রহায়ণ মাসে রোপণ করা হয় এই আখ। রোপণের পর আখের সঙ্গে ডাল, মসল্লা ও সবজির আবাদ হয় এই জমিতে। আখ বড় হওয়ার আগেই সাথি ফসল ঘরে তোলেন তারা। বাংলা বছরের কার্তিক মাসের শেষের দিকে এই আখ বিক্রি করেন কৃষকরা। প্রতিটি আখ প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় কেনেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আখ ও সাথি ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হওয়ায় ভালো লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা।
বড়াইগ্রাম উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পাবনার ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের ইক্ষু ৪২ জাতটির স্থানীয় নাম ‘রঙবিলাস’। এই আখ চাষ লাভজনক হওয়ায় তারা কৃষকদের চাষে পরমর্শ দিচ্ছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলায় চলতি বছর ৬৪ হেক্টর জমিতে ‘রঙবিলাস’ আখের চাষ হয়েছে। আর চলতি বছর ২৩ লাখ ৪০ হাজার পিস এই আখ উৎপাদন হয়েছে।