দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।
গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ছিল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর)। ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর যে দাবি-আপত্তি এসেছিল, সেগুলো শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র হয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।
অশোক কুমার দেবনাথ আরও জানান, খসড়া তালিকা অনুযায়ী ৪২ হাজার ৩৫০টির মতো ভোটকেন্দ্র রেখেছিল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটি।
ইসি সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।
মাঠ পর্যায়ে পাঠানো ইসির এক নির্দেশনায় জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এরপর উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনি কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।