1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বদলে গেছে একসময়ের প্রত্যন্ত এলাকা রূপপুরের মানুষের জীবনযাত্রা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদীতীরে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ শুরুর পর থেকে বদলে যেতে থাকে এলাকার চিত্র। রাশিয়ানদের আনাগোনায় রূপপুর প্রকল্প এলাকার চারপাশে নির্মিত হয়েছে সুউচ্চ ভবন। এক সময়ের অবহেলিত প্রত্যন্ত এলাকায় এখন শপিংমল, রিসোর্ট আর রেস্টুরেন্টে ভরপুর। বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাড়ে ৫ হাজার নাগরিক এই প্রকল্পে কাজ করছেন। বাংলাদেশের প্রায় ২৫ হাজার মানুষও কর্মরত এখানে।

প্রকল্প নির্মাণে বিদেশিদের আনাগোনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা আসতে থাকেন রূপপুরে। জমজমাট হয়ে ওঠে এলাকাটি। আসতে থাকে জীবন আর জীবিকার পরিবর্তন।

রূপপুরের বদলে যাওয়া এই পরিবেশ দেখে আনন্দিত রাশিয়ানরাও। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হওয়ায় কম দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারছেন তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী অলিভ হোসেন বলেন, ‘এক সময় এ অঞ্চল ছিল জঙ্গল, ছিল ধানের মিল। মানুষজন তেমন চলাচল করত না এসব এলাকায়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখানে পরিবর্তন আসতে থাকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমিও আমার জমিতে একটি বহুতল ভবন তৈরি করি। পরে দোকানগুলো সবই ভাড়া হয়ে যায়। সেইসঙ্গে আমি নিজেও একটি আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট করেছি। এখান থেকেও অনেক টাকা আয় হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনকে কর্ম দিতে পেরেছি।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন বলেন, ‘রাশিয়ানদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। রাশিয়ানরা মাঝে মাঝে এসে বাংলা খাবারের আবদার করত। এ জন্য আমি ভাতের রেস্টুরেন্ট দিয়েছি। তারা নিয়মিত আসে।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রূপপুরে কাজ করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, বেকারত্ব নিয়ে দিন পার করছিলেন তারা। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প হওয়ার পর এলাকায় বিভিন্ন কর্মসংস্থান হয়। পরে বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত হয়ে বেশ ভালো টাকা আয় করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায় কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০২৪ সালের মার্চে প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ