1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বিদেশীরা চায় সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন

এম এম লিংকন : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের তৎপরতা এখন চোখে পড়ার মতো। এমন সময় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এক দফা দাবিতে সরকারের পদত্যাগ চাইছে। কিন্তু বিদেশীরা তত্বাবোধায়ক সরকার নয় বরং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাইছে। বিদেশীদের সঙ্গে সরকারও তাল মিলিয়ে বলছে, তারাও অবাধ; নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় এবং এজন্য দেশের জনগণের কাছে শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন শীর্ষনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আমরা ভাবছি না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যে নির্বাচনে সাধারণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দমতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।

এর আগে মঙ্গলবার পিটার হাস রাজধানীর নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ( সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, অক্টোবরের শুরুতেই তাদের একটি প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আসবে।

গত রোববার আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড, চীন ও জাপানের চারজন সাংবাদিক রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল, জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন।

বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে গত মে মাসে বিধিনিষেধ দিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র । এরপর জুলাই মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকায় সফরে এসেছিলেন। তিনি নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক পর্যবেক্ষক একটি প্রতিনিধিদলও দীর্ঘ দিন বাংলাদেশে থেকে নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, আইন ও বিচারসহ বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এই প্রতিনিধি দল তাদের প্রতিবেদন পেশ করার পর ইইউ’র হেড অফিস সিদ্ধান্ত জানাবে যে , দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের কতজন পর্যবেক্ষণ আসবে। তবে এই প্রাক পর্যবেক্ষণ প্রতিনিধি দল যাওয়ার আগেই তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল এসে ঢাকায় থাকার জন্য বাসা অফিস খোঁজার আলোচনাও শুনা যায়।

সম্প্রতি পাঁচ সিটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ও ফলাফলকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাফল্য হিসেবেই দেখেছে দেশবাসী। এ সব নির্বাচনে ছোট খাটো দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাপা, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টির স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নির্বাচনকে প্রশ্নাতীতভাবে গ্রহণযোগ্য করেছে। এমনকি বরিশালে বিএনপি’র ছায়াপ্রার্থী হিসেবে ছিলেন বরিশালের প্রয়াত বিএনপি দলীয় মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান ওরফে রূপণ। আর এই পাঁচ সিটিতে মেয়র প্রার্থী না দিলেও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে গাজীপুর সিটিতে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল ২৯ জন; খুলনায় ৮ জন, বরিশালে ১৮ জন সিলেটে ৩৮ জন এবং রাজশাহীতে ২৬ জন।

দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি সভা-সমাবেশ করছে। দলটি চাইছিলো বিদেশীরা তাদের মূল দাবিতে যুক্ত হোক বা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিদেশীরা হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু আপামর জনগণ, এ দেশের প্রতিটি মহল চায় বিদেশীরা নয়, নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করে এই সংকট নিরসন করতে হবে।

সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর বিদেশীদের অতিমাত্রায় আগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের কারণে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে সামনের নির্বাচনটা অনেকটা ভালো হবে। আর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন শুধুমাত্র ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রমাণ ছাড়া দিনের ভোট রাতে দেওয়ার যে গল্প আছে, তা আর শোনা যাবে না।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনে এসে সবাই মিলে যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেয় তাহলে সামনের নির্বাচনটা ভালো হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক বেশি।

(এম এম লিংকন এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ