1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

এবারই বিশ্বকাপ ট্রফিটা দেশে আসতে পারে

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূলে রয়েছে দুই বছরের কঠোর পরিশ্রম। বিশ্বকাপ যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিল, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের সব পরিকল্পনা সাজানো হয়। তার আগে আমরা অনেক দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলেছি। ইংল্যান্ডে নয়টা ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন ম্যাচসহ ১১টা। নিউজিল্যান্ডে বাউন্সি উইকেটে খেলেছি। বিশ্বকাপের আগে বগুড়ায় ঘাসের উইকেটে পুরো এক মাস অনুশীলন করেছি। এই জিনিসগুলো আমাদের প্রস্তুতিতে অনেক সাহায্য করেছিল। বিশেষ করে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে খেলায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করেছে। এছাড়া কোচিং স্টাফরা সব সময় আমাদের মার্বেল পাথরের ওপর অনুশীলন করাতেন। যাতে আমরা কুইক ডেলিভারিগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। পুরো পরিকল্পনাই করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন মাথায় রেখে।

সেরা প্রস্তুতি ছাড়া জয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তিও আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ সবাই দলকে সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে মোটিভেট করতে পেরেছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সবসময় একটা জিনিস বলতো, এই টিমটা কারও একার না। ক্রিকেট দলীয় খেলা, এটা একা কেউ জেতাতে পারবে না। সবাইকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সবার অবদানেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে। সে কারণে দলের প্রত্যেকেই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতো। ফলে মাঠেও আমরা সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পেরেছি।

আমার বেশিরভাগ দায়িত্ব ছিল মাঠেই। বিশেষ করে অফ দ্য ফিল্ডে যে পরিকল্পনাগুলো করছি, সেগুলো অন দ্য ফিল্ডে ঠিকঠাকভাবে বাস্তবায়ন করাটাই ছিল মূল লক্ষ্য। বোলিংয়ের সময় বোলিং কোচ, কম্পিউটার অ্যানালিস্টের পরিকল্পনাগুলো বোলারদের রিমাইন্ড করে দেওয়া ছিল আমার বড় একটা কাজ। অধিনায়ক হিসেবে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। দলের প্রত্যেক সদস্যই দায়িত্ববান ছিল। খুব বেশি পুশ করার মতো কিছু করতে হয়নি। ওভার অল সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা বিশ্বকাপ জিততে পেরেছি।

বিশ্বকাপের পুরো সফরটা ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে ফাইনাল ম্যাচের কথা সারা জীবন মনে থাকবে। ওই দিনের পরিবেশ, পরিস্থিতি কোনোদিন ভুলবো না। ওটা স্পেশাল। বিশ্বকাপের কথা ভাবলে সবার আগে মনে পড়ে ট্রফি নিয়ে উল্লাসের মুহূর্তটা। আহা কী অবিস্মরণীয় এক স্মৃতি। আমরা আমাদের দেশকে গর্বিত করতে পেরেছি!

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুই দিন আগে আমার বোন মারা যায়, কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে জানতে পারি। সেদিন ভীষণ কষ্ট হলেও ভেঙে পড়িনি। কারণ আমি অধিনায়ক, আমার ওপর অনেক দায়িত্ব। আমি যদি ভেঙে পড়ি, তাহলে পুরো দলই ভেঙে পড়বে। বুকে পাথর চেপে লড়াই করার শপথ নিই। সেই লড়াইয়ে জিততে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

ছোটরা জিতলেও বড়রা তথা মূল বিশ্বকাপটা আমরা আজও জিততে পারিনি। সেই জায়গা থেকে আমাদের অনেক বড় অপূর্ণতা রয়েছে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। ক্রিকেটপ্রেমী প্রতিটি নাগরিকের স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতীয় দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। আশা করি, আমাদের সেই স্বপ্নটাও একদিন পূরণ হবে।

এবারই হয়ে যেতে পারে! এবারের দল নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। হয়তো এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছে, তারপরও বিশ্বাস করি, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দারুণ কিছু করবে। মন থেকে চাই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জয় করে বীরের বেশে দেশে ফিরুক।

লেখক : আকবর আলী – অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ