1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রী ও সুলিভানের বৈঠক নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিয়েছে মানবজমিন!

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

দৈনিক মানবজমিন এবং এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর হলুদ সাংবাদিকতার ইতিহাস নতুন নয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে মতিউরের রূপ বদলের কথাও সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী মহলে অজানা নয়। তিনি বরাবরই একটি পরাশক্তি দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের স্বার্থে কলম চালিয়েছেন। ঘটনাকে রটনায় রূপান্তরিত করতে সিদ্ধহস্ত মতিউর রহমান চৌধুরীর হলুদ দৈনিকে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের বৈঠক নিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। বৈঠক চলাকালে আলোচনা মাঝপথে থেমে গিয়েছে বলেও কাল্পনিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এমন একটি গুজব ছড়ানোর পর সমালোচনার ঝড় উঠলে ক্ষমা প্রার্থনা বা ভুল স্বীকার না করেই মানবজমিন থেকে সংবাদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পরেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানকে গণ্য করা হয়। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য এই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা বাংলাদেশ দূতাবাসে এসেছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের নানা দিক নিয়ে তাঁরা কথা বলেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদারের মধ্যদিয়ে বিশ্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুকে এগিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নেয়া হবে।

স্বাভাবিকভাবে শেষ হওয়া বৈঠকটি নিয়ে নীতি নৈতিকতার পরোয়া না করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কয়েকটি মনগড়া তথ্য উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে তৃতীয় কোনো পক্ষ উপস্থিত না থাকলেও জেক সুলিভান স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কী বলেছেন তাও উল্লেখ করা হয় যা হাস্যকর।

প্রতিবেদনে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন এবং তার দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বৈঠকে একটি শব্দও আলোচনা হয়নি। এছাড়া প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে কথা হয়েছে বানোয়াট দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যত আলোচনা হয়েছে, তাতে ডক্টর ইউনূস বা খালেদা জিয়া সম্পর্কে কখনও কোনো আলোচনা হয়নি।

হলুদ সাংবাদিকতার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নানা কারণে আলোচনা অন্যদিকে মোড় নেয়। আলোচনায় দরকষাকষির প্রসঙ্গ এসেছে বলেও মিথ্যাচার করা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা থামিয়ে দিয়েছে বলেও উদ্ভট ও কাল্পনিক দাবি করা হয়। অথচ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও সুলিভানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক স্বাভাবিক ও সুন্দর পরিবেশে শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মানবজমিনে মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রতিবাদ জানিয়ে মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি চ্যালেঞ্জ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রথম সারির সাংবাদিকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতারণামূলক প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আবারও নির্লজ্জ মতিউরের মিথ্যাচার উন্মোচিত হয়েছে। বরাবরের মত এবারও তিনি ক্ষমা প্রার্থনা, দুঃখ প্রকাশ বা ভুল স্বীকার না করে প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলেছেন।

দৈনিক মানবজমিন বা মতিউর রহমান হয়তো মুক্ত গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করে আইনগত ব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা পেয়ে গেছেন। কিন্তু বিবেকবান পাঠকদের কাছ থেকে কি তারা দায়মুক্তি পাবেন?


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ