1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিরসরাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আউশ ধান উৎপাদন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে আউশ ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। দিন দিন আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তবে চাষাবাদে আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে বলে জানান তারা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে ২৮ হাজার ১৮ মেট্রিক টন ধান। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ৬৭৯ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৩৯ মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদন হয়েছে। উপজেলার সাহেরখালী, মঘাদিয়া, ইছাখালী, দুর্গাপুর ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে বেশি আবাদ হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতীতের মতো স্থানীয় জাত ও উন্নত জাতের ধান বীজ অনেকেই বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকেন। এখানে কাজল আইল, চিনাল ধান, ভিন্নাতোয়া, ধলবাচাই, বৈলাম, আশ্বিনী, নাজির আইল, বাধই, হলোই ধান, বাতুইধান, জিইস ধান, পাইজম ধান ইত্যাদি চাষ হয়। মূলত হাইব্রিড ধান ও উফশী জাতের ধান বেশি চাষ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলার কৃষকেরা আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের বীজ বপন করতেন। এ জাতের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকেরা আউশ ধান আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলনে আউশ চাষে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘোরিয়া এলাকার কৃষক দিলীপ চন্দ্র নাথ এবার প্রায় ২ একর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এবার দুই একর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও খুব ভালো হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে কৃষি অফিসের সহায়তা চাইলে আমরা তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করে থাকি।’

দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন আরমান বলেন, ‘আমি এবার আড়াই একর জমিতে আউশ চাষ করেছি। সার, বীজ, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধানের বাজারদরও ভালো আছে।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে সরকার কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা, বীজ, সার দিয়ে চাষিদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছে। ফলে কৃষকেরা হাইব্রিড ও উফশী ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলনও হয়েছে। যে কারণে ধান ও চাল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ