1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস 

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম চার জাতীয় নেতাকে। তাঁরা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি আজ পালন করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও দেশ গঠনে জাতীয় চার নেতার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকায় তাঁর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি এখনো নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই অপশক্তির যেকোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ হত্যার ধারাবাহিকতা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। ’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরই গ্রেপ্তার হন জাতীয় চার নেতা। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটান সেনা কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফ। এ অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে জেলখানায় গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ