1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দুর্গম পদ্মার চরে মহিষের বাথান

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীর দুর্গম পদ্মার চরে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান। চরের বিস্তীর্ণ সবুজ তৃণভূমিতে মহিষ পালন করে বাথান মালিকরা এখন স্বাবলম্বী। ভোর থেকে শুরু হয় রাখাল আর ঘোষালদের কর্মযজ্ঞ। মহিষের দুধ দোয়ানো, দুধ ওজন করা, মাঠে চরানো ও রান্না করে নিজেদের খাওয়া-দাওয়াসহ নানা কাজে দিনভর ব্যস্ত থাকেন তারা। ঈশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের দুর্গম ডিগ্রিরচর ও চরভবানীপুর গিয়ে দেখা যায়, উত্তপ্ত দুপুরে পদ্মার চরের তৃণভূমিতে শত শত মহিষ ঘাস খাচ্ছে। মহিষের পাশেই ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন বেশ কয়েকজন রাখাল। প্রতিটি বাথানে ১০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত মহিষ আছে। একজন রাখাল ৫০টি মহিষ দেখভাল করছেন।

রাখালরা দিন শেষে পলিথিন বা ত্রিপলের তাঁবুতে এসে আশ্রয় নেন। মহিষগুলো থাকে খোলা আকাশের নিচে। ভোর হলেই মহিষের দুধ সংগ্রহ শুরু করেন বাথান মালিকদের নিয়োগকৃত ঘোষালরা। তারপর ব্যবসায়ীদের তা বুঝিয়ে দিয়ে রাখাল ও ঘোষালরা একত্রিত হয়ে শুরু করেন রান্না। সকালে নাস্তার পর তারা বেরিয়ে পড়েন মহিষ চরাতে। এভাবে প্রতিদিন একই নিয়মেই চলছে তাদের জীবনযাত্রা। বাথানের মহিষ নিয়ে এক থেকে দেড় মাস পরপরই রাখালরা স্থান পরিবর্তন করেন। রাজশাহীর বাঘা থেকে ঈশ্বরদীর ডিগ্রির চর, কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া চর থেকে পাবনার সদর উপজেলার চরভবানীপুর চর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ পদ্মার চরজুড়ে মহিষ চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

মহিষের বাথান মালিক বাবলু মন্ডল গণমাধ্যমকে জানান, ১৫০টি ছোট-বড় মহিষ আছে তার বাথানে। দুজন রাখাল ও তিনি মহিষগুলো দেখভাল করেন। ২০টি মহিষ দিয়ে তিনি বাথান শুরু করেন। তিনি ২০ বছর ধরে মহিষের বাথানের সঙ্গে নদীর চরে থাকেন। পরিবারের প্রয়োজনে কখনো বাড়ি গেলে তার ছেলে থাকেন। বাথানে মহিষ পালনের অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, ঝড়, বৃষ্টি আর প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে পদ্মার দুর্গম চরে দিনরাত থাকতে হয়। গ্রীষ্মের সময় প্রচণ্ড গরম হাওয়া আর শীতের সময় শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করেই থাকতে হয়। তা ছাড়া ডাকাত বা সন্ত্রাসীদের ভয় তো আছেই। যদিও সচরাচর রাতে এমন ঘটনা ঘটে না। তবে ঘটতে কতক্ষণ?

মহিষ বাথানের মালিক আব্দুল হান্নান বলেন, বাথানের মহিষ শুধু সবুজ ঘাস খেতে পছন্দ করে। বর্ষাকালে নদীর চর ডুবে গেলে এদের ধানের পোয়াল, ধানের গুড়া, সরিষার খৈল ও ভূষি খেতে দেয়া হয়। এগুলো খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। মহিষ অপরিচিত মানুষ দেখলে তাকিয়ে থাকে এবং ছোটাছুটি করে। নদীর চরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। শহরের খামারে এরা থাকতে পারে না। বাথানে এখন ৫০টি মহিষ আছে। প্রতিটি মহিষের দাম ২-৩ লাখ টাকা। প্রতিবছর রাখাল ও মহিষের খাবার খরচ বাদে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাভ হয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ