1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বুধবার আসছে ইউক্রেনের গম, রবিবার রাশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেন থেকে গম আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। যুদ্ধের কারণে এই গম পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দেশটি থেকে গমের প্রথম চালান আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছাবে। প্রায় ৫০ হাজার টন গমের চালানটি আজ দুপুরে সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ৫০ হাজার টনের আরেকটি গমের চালান আগামী রবিবার দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে কয়েক বছর ধরে গমের উৎপাদন যথেষ্ট নয়। চলতি অর্থবছরে ১১ লাখ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবার সরকারিভাবে দেশের বাজার থেকে গম সংগ্রহের কার্যক্রমও আশানুরূপ নয়। এসব কারণে আমদানি করেই গমের চাহিদা পূরণ করছে সরকার। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) গমের চাহিদা পূরণে সরকারিভাবে (জিটুজি) প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানি করতে চুক্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন এবং বুলগেরিয়া থেকে এক লাখ এবং ইউক্রেন থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হচ্ছে। ইউক্রেন থেকে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে ৪০৬.৮৩ ডলার, যা চুক্তি করা অন্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্য দেশের তুলনায় প্রতি টনে প্রায় ৭০ ডলার কম দামে ইউক্রেন থেকে গম কিনছে বাংলাদেশ।

বুলগেরিয়া থেকে দুটি প্যাকেজে ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন গম এরই মধ্যে আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৪৮.৩৮ ডলার। দ্বিতীয় প্যাকেজে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৭৬.৩৮ ডলার।

রাশিয়া থেকে যে পাঁচ লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথম ধাপে প্রায় ৫২ হাজার টন এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ অক্টোবর আরো প্রায় ৫৫ হাজার টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। তৃতীয় ধাপে আরো প্রায় ৫০ হাজার টন গম আগামী রবিবার বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর এ পর্যন্ত দুই লাখ সাত হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে আরো দুটি চালান দেশে এসে পৌঁছানোর পর বাজারে সরকারি গমের সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান বলেন, ‘আমাদের দানাদার খাদ্যশস্যের মজুত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। সন্তোষজনক এই মজুদ ধরে রাখতে আমরা আমদানি বাড়াতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমদানি চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার থেকে সব গম দেশে এসে পৌঁছালে আমাদের মজুদ পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। ’

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে (২০২১-২০২২) দেশে প্রায় ৪০ লাখ ১২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং বেসরকারিভাবে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টন গম আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চার লাখ ১২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ