1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফরিদপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলন, চলছে ধান কাটার মহোৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। একদিকে ধান কাটা অন্যদিকে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত তারা। সোনালি ধান হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। কার্তিক মাসের শুরু থেকেই আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ। এখন চলছে মাড়াই ও ধান শুকানোর কাজ। গ্রাম-গঞ্জে আসতে শুরু করছে শহরাঞ্চল থেকে মেহমানরা, তাদের অপ্যায়ন করতে নতুন ধান ঘরে তুলে তা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা-পায়েশ তৈরির উৎসব চলছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গিয়েছে, মাঠজুড়ে পাকা সোনালি ধান। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং তুলনামূলক ধানের রোগবালাই কম থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খেতে কেউ ধান কাটছে আবার কেউ ধানের আঁটি বাঁধছে। আবার কেউ ধানের আঁটি মাথায় নিয়ে উঠানে তুলছে। ধান মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন কৃষকেরা।

কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবি গ্রামের কৃষক মোস্তফা শেখ বলেন, ‘এবার ৭ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হবে ২৮ থেকে ৩০ মণ। এ বছর চালের বাজার চড়া থাকায় ধানের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় গেল বছরের মতো এবার লোকসানের আশঙ্কা নেই।’

সদর ইউনিয়নের সতের রশি গ্রামের কৃষক সালাম মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় অনেক কৃষক এবার রোপা আমন চাষ করেছেন। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টির কারণে তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে যে সকল আমন চাষী দেরি করে ধান রোপণ করেছেন তারা বেশি লাভবান হবেন।’

উপজেলার সাড়ে সাতরশি বাজারের ধান ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জাতের ধানের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছি। গত বছর আমি প্রতি মণ ধানে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। প্রতি মণ ধান ক্রয় ও সংরক্ষণে আমার খরচ পরেছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। এবার ধারণা করছি ধানের মূল্য কিছুটা বেশি যাবে।’

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার সোনালি ধান হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ