1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিএনপির মন্ত্রী আকবর : নারীসহ ধরা পড়েছিলেন, তবে পদত্যাগ করেননি!

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

বিএনপির মন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আকবরকে মনে আছে? বিমানবন্দরের নারীসহ ধরা পড়েছিলেন। তবে পদত্যাগ করেননি। ১৯৯১ সালে মন্ত্রিসভায় কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত আকবর হোসেন ছিলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী। তৎকালীন কুমিল্লা সদর আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আকবর তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ঢাকা বিমানবন্দরে বিদেশ সফরের সময়। কজনের মনে আছে সেই ঘটনা?

জানা যায়, একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয়ে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার সময় গোয়েন্দাদের নজরে আসে ওই সফরসঙ্গী আদৌ মন্ত্রী আকবরের স্ত্রী নন। তিনি মন্ত্রীর বান্ধবী। গোয়েন্দারা আটকে দেন তার বিদেশযাত্রা।

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিএনপির গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আমৃত্যু কুমিল্লা জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন তিনি। ওই এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচবার। বন, পরিবেশ ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন আকবর হোসেন।

দুই যুগের বেশি সময় আগে আকবর হোসেনের সেই ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হলেও কালের বিবর্তনে স্মৃতিপট থেকে অনেকটা হারিয়ে গেছে। কারণ তখন আজকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছিল না। ছিল না ইলেকট্রনিক মাধ্যম কিংবা অনলাইন গণমাধ্যম। তবে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেনের নারী কেলেঙ্কারির খবরটি ওই সময় কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।

কিন্তু বিএনপির নেতৃত্ব, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মন্ত্রী আকবরকে বরখাস্ত করেননি। পদত্যাগ করতে বলেননি। উপরন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আকবরকে আবার মন্ত্রী করা হয়। দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নৌ-পরিবহনের দায়িত্ব।

সম্প্রতি নারীদের নিয়ে অশ্লীল বক্তব্য, চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর পদত্যাগ করতে হয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেন।

বহু আগের হলেও নারীঘটিত বিষয় নিয়ে বিএনপির সাবেক মন্ত্রীর সেই ঘটনা নিয়ে মৃদু আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। শুধু তাই নয়, দায়িত্বশীল পদে থেকে রাজনীতিবিদদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়েও সমালোচনা চলছে সর্বত্র।

এদিকে নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর নিজ জেলা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ডা. মুরাদকে। পরে দলের সরিষাবাড়ি উপজেলার পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

এমন ঘটনাপরিক্রমার মধ্যে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান মুরাদ হাসান। সোমবার থেকে তাকে কোথাও দেখা যায়নি। এর মধ্যেই তিনি এমিরাটস এয়ারলাইন্সের টিকেট কেটে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নেন এমপি মুরাদ। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ