যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাত বছরে পুলিশের গুলিতে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। অনেকটা একই ধরনের তথ্য উঠে এসেছে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনেও।
যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নৃশংসতা নিয়ে সারা বিশ্বেই ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের হাতে বিচারবহির্ভূত উপায়ে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বহু প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হয়েছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডে ২০২০ সালের ১ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাত বছরে পুলিশের গুলিতে ৭ হাজার ৬৬৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ১ হাজার ১০৬ জন, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৫০ জন, ২০১৫ সালে ১ হাজার ১০৩ জন, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৭১ জন, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৯৫ জন, ২০১৮ সালে ১ হাজার ১৪৩ জন এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ৯৮ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে যে সাত বছরের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৪৩ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আর ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে বছরে গড় প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১০০ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের গুলিতে হতাহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু অথবা অন্য পদ্ধতিতে নিহত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এছাড়া ওই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক অসম হারে পুলিশের গুলিতে নিহত বা আহত হয়েছেন, যা একইভাবে হতাহত শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি। অবশ্য বছরের পর বছর ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের এই নৃশংসতা ও বর্বরতার কারণে বাহিনীটির সংস্কার দাবিতে বহুবার বিক্ষোভ হয়েছে, এমনকি বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কও।
২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা টানা চার বছর ধরে এক হাজারের আশপাশেই রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পুলিশের গুলিতে ৯৯৮ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৯৮৭। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে ১১ জন বেশি মারা গেছেন। এছাড়া ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত মানুষের সংখ্যা ৯৬৩ জন এবং ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৯৫ জন।
