1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

তারেকের ‘খবরদারী’ মানছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির নেতাদের মতের মিল হচ্ছে না। জ্যেষ্ঠ নেতারা চলমান হরতাল-অবরোধে বিরতি দিয়ে সভা-সমাবেশ কিংবা এ জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে চান। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ প্রস্তাব আমলে না নিয়ে হরতাল-অবরোধেই অটল। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকার নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হলেও প্রকাশ্যে কথা বলতে চাইছেন না কেউ। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘাতের পর থেকে এ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এসব কর্মসূচি প্রথম কয়েকদিন ঢিলেঢালাভাবে পালনের পাশাপাশি রাজপথে নেতাকর্মীদেরও সেভাবে উপস্থিতি ছিল না। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ দলটির কেন্দ্রীয় সর্বোচ্চ পাঁচ-সাতজন নেতাকে শুধু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়।

এছড়া দলের অঙ্গ, সহযোগী সংঠনের কয়েকজন এবং কয়েকটি জেলার নেতাদের রাজপথের মিছিলে দেখা গেছে। এর বাইরে নেতাকর্মীরা মাঠেই নামছেন না। হরতাল-অবরোধ চলাকালে একদিকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থান অন্যদিকে রাজপথে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতিতে অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ছে চলমান কর্মসূচি। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল। সাধারণ মানুষও জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন কর্মসূচির কথা ভাবছে বিএনপি।

এক্ষেত্রে ঢাকার জ্যেষ্ঠ নেতাদের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশের কর্মসূচির প্রস্তাব করা হচ্ছে। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসবের কিছুই তোয়াক্কা করছেন না বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ নেতারা সরকার বিরোধী আন্দোলন করছেন। পুলিশের অনুমতি থাকা সভা-সমাবেশে যেসব নেতাকর্মীর ভিড়ে মঞ্চ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের অনুমতিবিহীন কর্মসূচিতে সেসব নেতাদের কারও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চলমান আন্দোলনে গত ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই কর্মসূচিতে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারাও সেই দাযিত্ব ঠিকমতো পালন করেননি।’

‘এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সকালে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রক্তাক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের কাছে ‘হিরো’ হলেও বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশ প্রধানের অফিসে খাবার খেয়ে ‘ভিলেন’ বনে যান। মির্জা আব্বাস ঘর থেকে বের হতে পারেননি। নজরুল ইসলাম খান ও ড. আব্দুল মঈন খান তো তাদের নির্ধারিত স্পটেই যাননি।’

তিনি বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ নেতাদের দুজন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা বাগিয়ে নিয়ে বহুতল আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। দলকে গতিশীল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে না পারলেও নির্বাচনে মাঠের নেতাদের ‘বলি’ দিয়ে এসব নেতারা নিজের এবং স্ত্রী-সন্তানদের জন্য আসন নিশ্চিত করে মরিয়া থাকেন। একজন আছেন আন্দোলন শুরু হলেই তার ঠিকানা হয় হাসপাতালে। মাঠের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না। কেউ কেউ রয়েছেন সরকারঘনিষ্ঠ বা দুর্নীতিগ্রস্ত।’

বিএনপির প্রথম সারির আরেক নেতা বলেন, ‘সম্প্রতি একজন একটি নৈশভোজের আয়োজন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। কেউ বা পড়েছেন ‘হানি ট্রাপে’ সব মিলিয়ে নানা কারণে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এখন কার্যত ব্রাকেটবন্দি। সঙ্গত কারলেই চলমান পরিস্থিতিতে এসব নেতাদের বাদ দেওয়া যাচ্ছে না, আবার তাদের মতামত দলের হাইকমান্ডের কাছে গুরুত্বও পাচ্ছে না।’

দলের একাধিক সূত্র জানায়, হরতাল-অবরোধের বাইরে নেতারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির চিন্তা করছেন। তবে এখনই আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে হরতাল-অবরোধ বাদ দিচ্ছে না বিএনপি। ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন টার্গেট করে তারা ‘শক্ত’ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। আপাতত হরতাল-অবরোধের ফাঁকে বিক্ষোভ-সমাবেশজাতীয় কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

চলমান আন্দোলনের মাঠে থাকা বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘করোনার সময় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রের সমস্ত অর্গ্যান দিয়েও এক সপ্তাহের বেশি সেভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায়নি। মানুষ তার জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেরিয়েছে। পুলিশও তাদের ঠেকাতে পারেনি। আমাদের চলমান হরতাল-অবরোধেও মানুষ আমাদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। কিন্তু তারা এখন ঘর থেকে বের হচ্ছেন জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে। কার্যত হরতাল-অবরোধ মানুষ পালন করছে না। এসব কর্মসূচির সমর্থনে নেতাকর্মীরাও মাঠে নামতে পারছে না। ফলে এটি সুপার ফ্লপ কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন দরকার।’

চলমান কর্মসূচিতে হতাশা প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নামতে হবে। চলমান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা নেই। কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা নামবে, গ্রেফতার হলে হবে, মাঠে নামতে হবে। আমার মনে হয় আমাদের যাদের মামলা রয়েছে তাদের সবার উচিত আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করা।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির সাবেক এমপিকে বহিষ্কার

মিরাজ বীরত্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়

ঈদের নিরাপত্তায় ৩৬০ ডিগ্রি সিসি ক্যামেরা, জঙ্গি হুমকি নেই

১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জুয়েল কারাগারে

ইন্টারনেট সার্চে পদ্মা সেতু নিয়ে যত তথ্য

ধামরাইয়ে ফেলনা প্লাস্টিকের হস্তশিল্প দেখাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ সেপ্টেম্বরে

নতুন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতলেন নিকারাগুয়ার শেনিস প্যালাসিওস

বিএনপি-জামায়াতের হামলায় ৬০০ যানবাহন ভাঙচুর, ১৩ জন নিহত : প্রধানমন্ত্রী

জাপানের ভূমিকম্পে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা