1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বগুড়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

বগুড়ার শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত শিবগঞ্জ উপজেলা। মাটি উর্বর হওয়ায় সব ধরনের ফসল ফলে এ উপজেলায়। এবার উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পেঁয়াজের চাষ চোখে পড়ার মতো। চলতি বছরে উপজেলার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২০ টন। গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের চাষ অনেক বেশি হয়েছে। এবছর উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৫ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৭০ হেক্টর জমিতে দেশি জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।

এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন। গত বছর আবাদ হয়েছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিলো ৩০০০ মেট্রিক টন।

কৃষকরা জানান, উপজেলায় এবার প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা অনেকটাই মেটাবে। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৭৫-৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন তারা।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এবার উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ ভালো হয়েছে। তার মধ্যে বিহার, আলীগ্রাম, উথলী, ডাবইর, মোকামতলা এলাকায় বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এখন পেঁয়াজের ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ তুলছেন আগাছা, কেউ দিচ্ছেন বালাইনাশক স্প্রে, কেউ বা পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে নিচ্ছেন।

আলীগ্রামের পেঁয়াজ চাষী আজিমুদ্দীন মন্ডল বলেন, ‘আমি এবার ৩বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। গতবারের তুলনায় বীজ ও সার-কীটনাশকের দাম কিছুটা বেশি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দ্বিগুণ স্প্রে করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে প্রতি বিঘায় গড়ে ৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। আশা করি সাড়ে ৪ লাখ টাকার মতো পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবো।’

মোকামতলা এলাকার কৃষক প্রফুল্ল চন্দ্র বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় ১০দিন আগেই তুলে বাজারে বিক্রি করেছি। খরচ বাদে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’

বরকতিয়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, ‘আমি প্রতি মণ ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি করছি। পেঁয়াজের হঠাৎ দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকেরা আগেভাগেই জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার কারণে ২ দিনের ব্যবধানে দাম অনেকটা কমে এসেছে। দুই দিন আগেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি করেছি।’

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ সরকার বলেন, ‘এবার উপজেলা জুড়ে পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আমরা আশা করছি বাজারদর ঠিক থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে এবং পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে। আমরা সর্বাক্ষণিক কৃষকদের পাশে থেকে সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা দেওয়াসহ কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার আমরা ১১৫ বিঘা জমিতে কৃষকদের পেঁয়াজের প্রণোদনা হিসেবে প্রতি বিঘার জন্য ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ ও ২০ কেজি করে সার দিয়েছি। আশা করছি শিবগঞ্জের উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা অনেকটা মেটাবে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ