1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভোটার হিসেবে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের কোন নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এবং কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষিত না হলে তিনি যে এলাকায় বসবাস করেন, তিনি সে এলাকার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাগরিকদের অধিকারঃ

(১) ভোট হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীন মতামত প্রতিষ্ঠিত করার অধিকার।

(২) যে কোন ভোটার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।

(৩) প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের প্রক্রিয়া জানার অধিকার রয়েছে। ভোটারগণ টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে ভোটের প্রক্রিয়া জানতে পারেন।

(৪) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিক/ ভোটারের জানার অধিকার রয়েছে।

(৫) প্রত্যেক ভোটারের ভোট গোপন রাখার অধিকার রয়েছে।

(৬) নারী-পুরুষ, ধর্ম বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটদানে সমান অধিকার রয়েছে।

(৭) প্রত্যেক নাগরিকের নির্বাচনী ফলাফল সম্পর্কে অবগত হবার অধিকার রয়েছে।

(৮) প্রত্যেক নাগরিকের নির্বাচন সম্পর্কিত অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে।

(৯) ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে প্রত্যেকের অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন ভোটার হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা।

ভোটারের কর্তব্য

অধিকার ও কর্তব্য পরস্পর সম্পূরক। নির্বাচনে ভোট দেয়া যেমন একজন নাগরিকের অধিকার, তেমনি ভোটার হিসেবে নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত কিছু কর্তব্যও তাঁকে পালন করতে হয়। যেমনঃ

(১) ১৮ বছর পূর্ণ হলে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করুন।

(২) নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার পূর্বে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত যে কোন সময় ভোটার হন।

(৩) একজন ভোটার কেবলমাত্র একটি ভোটার এলাকায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

(8) ভোটদান প্রত্যেক নাগরিকের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।

(৫) ভোটদান আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। নির্বাচনের দিন আপনাকে অবশ্যই আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ভোট সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সহায়ক। কাজেই আপনার ভোট একটি মুল্যবান আমানত।

(৬) আপনার ভোট বিক্রি করবেন না। ভোট আপনার জন্মগত অধিকার, কোন সামগ্রী প্রাপ্তির চেয়ে তা অনেক বেশী মূল্যবান। নির্বাচনে আপনার বিবেক ও অধিকার প্রয়োগে আপনি ভোট দেবেন। সুতরাং আপনার অধিকার ও বিবেক বিক্রি করবেন না।

(৭) অন্যকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দিন। স্বাধীন এবং শান্তিপূর্ণভাবে আপনার যেমন ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে, তেমনি অন্যদেরও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেয়ার সমান অধিকার রয়েছে। সকলকে ভোট দিতে উৎসাহিত ও সাহায্য করুন।

(৮) নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা বিধানের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের সহযোগিতা করুন। নির্বাচনি আইন-কানুন মেনে চলুন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট থাকুন।

(৯) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত। নির্বাচনকালীন সময় সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখুন। বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন এবং এদের সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করুন।

(১০) ভোটদানের পদ্ধতি আগেই সঠিকভাবে জেনে নিন। কারণ সামান্য ভুলেই আপনার মূল্যবান ভোটটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

(১১) আপনি কোন কেন্দ্রের ভোটার তা আগেই জেনে রাখুন।

(১২) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিন।

(১৩) আপনি একজন সুনাগরিক, তাই ভেবে চিন্তে ভোট দিন। একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিন। সুচিন্তিত ভোটাধিকার প্রয়োগ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করে, যা জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়ক হয়।

(১৪) ভোটের অধিকার মানবাধিকার, তার যথাযথ প্রয়োগ করার দায়িত্ব ও কর্তব্য আপনার।

(১৫) সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করুন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ