মেট্রোরেল ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। চলতি বছর বৈদ্যুতিক ট্রেনের সবগুলো স্টেশন খুলে দেয়ায় এবার মানুষের ঢল নামে মেট্রোরেলে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ট্রেনে চেপে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটেন যাত্রীরা। অন্যদিকে, মোনাজাত শেষে ফিরতি ট্রেনে চেপে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
বাস না পেলে ভাড়া নিতে হতো অটোরিকশা কিংবা ট্রাক। তারপরও হাঁটতে হতো অনেকটা পথ। বিগত বছরগুলোতে এভাবেই বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতেন দুই বন্ধু আসলাম ও হাজী আমিনুল ইসলাম। তবে তিক্ত সেই অভিজ্ঞতা এখন পুরোপুরি অতীত। বৈদ্যুতিক ট্রেনে চেপে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ছুটে আসেন তারা।
সকালে মতিঝিল থেকে ছেড়ে আসা উত্তরাগামী প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়, যাদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য ছিল উত্তরা উত্তর স্টেশন হয়ে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান।
সম্প্রতি এমআরটি লাইন সিক্সের সব কটি স্টেশন খুলে দেয়ায় প্রতিটি স্টেশন থেকেই ট্রেনে চেপে বসেন ইজতেমাগামী যাত্রী। কিছুটা ভিড় থাকলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি আর দ্রুতগতির যাত্রায় আনন্দ ছিল সবার মনে।
মেট্রোরেল ব্যবহার করে তৃপ্তি ঢেকুর ভিনদেশি মুসল্লিদেরও। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সাদুবাদ জানান তারাও।
মোনাজাত শেষে ফের মানুষের ঢল নামে মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশনে। টিকিটের জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও খুব একটা আক্ষেপ ছিল না কারোই বরং ইজতেমায় আসা এবং আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে পারার আনন্দে ছিল সবার মনে। ইজতেমা ফেরত যাত্রীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে এদিন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাত হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।