1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু, সেনাপ্রধানের শোক প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) গুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন সেনা সদস্য। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আএসপিআর কর্তৃক পাঠানো এক প্রেস বার্তায় জানানো হয়েছে, সোমবার (১২ মার্চ) বেলা ১টায় দিকে অতর্কিত হামলার শিকার হয় সেনাবাহিনীর এই দলটি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গমনকৃত দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন তারা।

নিহত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন ৩০ বছর ধরে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। রংপুর সদরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।

আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি নামক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি ইতোপূর্বে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’ এর মত একটি জঙ্গী গোষ্ঠীকেও বান্দরবানের পাহাড়ী এলাকায় অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পাহাড়ি এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক নির্মিতব্য বান্দরবানের থানচি সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য কেএনএ সন্ত্রাসী দলটি সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত অসামরিক ঠিকাদার, মালামাল সরবরাহকারী এবং শ্রমিকদের নিকট থেকে প্রথমে চাঁদা দাবি করে ও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কাজ চলমান থাকায় কেএনএ সন্ত্রাসী দল গত ১১ মার্চ ১২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। এদের মধ্যে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয় এবং ৪ জন শ্রমিককে এখনও কেএনএ জিম্মি করে রেখেছে। বাকি ৭ জন শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও তাদেরকে সেনাবাহিনীর সাথে সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে এবং ১২ মার্চ সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে কেএনএ।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের ৩ উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের জন্য কেএনএ পরিবহন মালিক সমিতিকে হুমকি প্রদান করে নোটিশ জারি করে। কেএনএ সদস্যদের বিবিধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে গত রোববার (১২ মার্চ) ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ