1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিরসরাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে সূর্যমুখী চাষ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কৃষকেরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষ অনেক সহজ ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা আরও উৎসাহিত হবেন বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও কম অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা আছে। কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১২ একর জমিতে সার ও বীজ দিয়েছে।

উপজেলার মেহেদীনগরের একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের আশা করা যায়। সূর্যমুখী ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তেল উৎপাদন সম্ভব।

প্রতি বিঘা জমিতে ৭-১০ মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০-২০০ লিটার। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজারমূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে সূর্যমুখী তেলের।

সূর্যমুখী চাষি নঈম উদ্দিন জানান, কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী নিয়ে এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এ পর্যন্ত তার প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রির আশা করছেন ২৫-৩০ হাজার টাকা। তবে আধুনিক মেশিন থাকলে হয়তো এই সূর্যমুখী ভাঙিয়ে এর থেকে পাওয়া তেল নিজে ব্যবহার করতেন অথবা বাজারজাত করতেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ১২ একর জমিতে প্রায় ৩০ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষাবাদ করেছেন। দিন দিন চাষের পরিধি বাড়ছে। আগামী বছর থেকে এর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ