1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জুনেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

জুনেই চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। সেতুটি চালু হলে এই এলাকার জনগণ ও যানবাহন চলাচল আরো সহজ হবে। সম্প্রতি সেতু পারাপারে যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, বড় বাসে ২২৫ টাকা এবং মাঝারি ট্রাকে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে। জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু টোল হার নির্ধারণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু ব্যবহারকারী যানবাহন থেকে টোল আদায়ে ‘টোল নীতিমালা ২০১৪’ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন চলাচলের জন্য টোল হার নির্ধারণ করা হলো। টোল হার অনুযায়ী, ট্রেলারে ৬২৫ টাকা, হেভি ট্রাকে ৫০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২৫০ টাকা, বড় বাস ২২৫ টাকা, মিনি ট্রাক ১৯০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত গাড়িতে ১৫০ টাকা, মিনিবাসে ১২৫ টাকা, মাইক্রোবাসে ১০০ টাকা, ফোর হুইল চালিত যানবাহনে ১০০ টাকা, ৩-৪ চাকার মোটরাইজড যানবাহনে ২৫ টাকা, মোটরসাইকেলে ১৫ টাকা, রিকশাভ্যান-রিকশা-সাইকেল-ঠেলাগাড়িতে পাঁচ টাকা টোল দিতে হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১ হাজার ২৩৪ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৬ লেন বিশিষ্ট তৃতীয় শীতলক্ষা সেতুতে স্থানীয় ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য ভিন্ন লেন রাখা হয়েছে। এই সেতুটি উন্মুক্ত করার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের সঙ্গে পদ্মা সেতুর দূরত্ব ৯ কিলোমিটার কমে যাবে। নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই সেতু মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে শ্রীনগরের ছনবাড়ি পয়েন্টে যুক্ত হবে। এর ফলে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সহজ সড়ক নেটওয়ার্ক দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। শেষ মূহূর্তের কাজ চলছে। এখন খুঁটিনাটি কাজের পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

নদীর ভেতরে ৪টিসহ মোট ৩৮টি খুঁটির ওপর শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৪শ’ মিটার মূল সেতু সরাসরি কংক্রিটের ঢালাইয়ে তৈরি। সেতুর উভয় পাশে ৮৩৪ দশমিক ৫০ মিটার সংযোগ সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি চালু হলে কাঁচপুর, সাইনবোর্ডসহ রাজধানীর যানজটও কমবে। মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে মাওয়ার পদ্মা সেতুর দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। তবে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু হয়ে যাতায়াতে দূরত্ব হবে ৪৩ কিলোমিটার। একই সঙ্গে সিলেট সড়কও সুফল পাবে এই সেতুর বাইপাস সড়কটির।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ