স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী। এছাড়াও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংখ্যাধিক্যের দিক থেকে স্পেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি। মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম প্রবর্তনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরণ হলো। এখন থেকে স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল সেবা ও সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, সরকার ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশেই ই-পাসপোর্ট চালু হয়।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপদ ভ্রমণ দলিল ই-পাসপোর্ট হলো বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে ‘ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ’ রয়েছে।
এতে ৩৮টিরও অধিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্বলিত মাইক্রোপ্রসেসর চিপে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যথা পাসপোর্টধারীর রঙিন ছবি, দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ, স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা, পূর্ববর্তী পাসপোর্টের রেকর্ড, ইত্যাদি সঞ্চিত থাকে।
বিদেশস্থ ২৫টি বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলমান ছিল। ২৬তম মিশন হিসেবে স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম চালু হল। ভবিষ্যতে বিদেশস্থ আরো ৫৪টি মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।