1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পাসপোর্টের ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে এসে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মানিকগঞ্জে পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক নারীর নাম হুমায়রা। তার বাবার নাম হামিদুল্লাহ।

আটকের সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা আবু তাহের (২২) নামে এক দালালকেও আটক করা হয়। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার গোয়াইলমারা গ্রামের মো. ইলিয়াসের ছেলে।

মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ বলেন, জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর চান্দহর গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন এক নারী। আবেদনে তার নাম দেয়া হয় তাসনিম বেগম, বাবার নাম মো. খলিলুর রহমান। তিনি জন্ম সনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্র দেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, রোহিঙ্গা হিসেবে তিনি নিবন্ধিত। তার নাম হুমায়রা, বাবার নাম হামিদুল্লাহ ও রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯।

নাহিদ নেওয়াজ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেন যে, তিনি উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন। পরে ওই নারীকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জানা যায়, আবু তাহেরের সহযোগিতায় সিঙ্গাইর এলাকার এরশাদ নামের এক দালালের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই নারী। এজন্য এরশাদকে অগ্রিম ৬০ হাজার টাকাও দেয়া হয়। তবে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের হাতে ওই নারী আটক হওয়ার পর সটকে পড়েন দালাল এরশাদ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্ম সনদ জমা দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, এটা একটা জাল সনদ। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার না। যে তারিখ দেয়া আছে ওই তারিখে আমি কোনো সনদ দেই নাই।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ