1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পারলো না বাংলাদেশ!

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২

দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে বাঁচা-মরার ম্যাচে ৫ উইকেটে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।

বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙার ম্যাচে মূল আলোচনা ছিল সাকিবের বিতর্কিত আউটকে ঘিরে। তার পরেও বাকি ব্যাটাররা অবদান রাখতে না পারায় স্কোরটা বড় হয়নি। নাহলে পাকিস্তানকে চেপে ধরার সুযোগ ছিল। রান আটকানোর সঙ্গে উইকেট তুলে নিতে পারলেও মামুলী স্কোর তারা ১১ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়েই জিতেছে।

বাবর-রিজওয়ানের বিদায়ের পর নওয়াজ-হারিসের জুটি অবদান রাখে বেশ খানিক্ষণ। ৩১ রানের সেই জুটি ভাঙে নওয়াজের রান আউটে। তিনি ফেরার আগে ১১ বলে ৪ রান করেছেন।

তারপর শান মাসুদ-হারিস ২৯ রানের জুটিতে গড়ে জয়ের পথটা আরও সহজ করেছেন। হারিসকে বিদায় দিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। হারিস ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। ইফতিখার আহমেদকে (১) মোস্তাফিজ বিদায় দিলেও ততক্ষণে জয়ের চৌকাঠে বাবর আজমরা।

রানআউট মিস

বাবর-রিজওয়ানকে বিদায় দেওয়ার পর আরও একটি উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তখন ক্রিজে ছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ-মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ তারা মিস করেছে।

বাবরকে ফেরালেন নাসুম, রিজওয়ানকে এবাদত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে ওপেনিং জুটিতেই বাবর-রিজওয়ান ৫৭ রান যোগ করেছেন। ১১তম ওভারে দারুণ এই জুটি ভেঙেছেন আজ সুযোগ পাওয়া নাসুম আহমেদ। ৩৩ বলে ২৫ রান করা বাবর মোস্তাফিজের ক্যাচ হয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার।

এক ওভার পর এবাদত হোসেন বিদায় দিয়েছেন রিজওয়ানকেও। ৩২ বলে ৩২ রান করা এই ব্যাটার শান্তর কাছে ক্যাচ তুলেছেন। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছয়।

পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের ৩৪ রান

১২৮ রানের লক্ষ্যে ধীরে-সুস্থে খেলে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৪ রান উঠেছে পাকিস্তানের। যা আবার বাংলাদেশের ইনিংসের তুলনায় যা কম। বাংলাদেশ একটি উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছিল।

রিজওয়ানের ক্যাচ মিসে শুরু বাংলাদেশের

প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু সোহান সেটি গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। নাহলে শুরুতে পাকিস্তানকে চাপে রাখা যেত।

পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতলেই সেমিফাইনাল। এমন সম্ভাবনায় অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে খুব বেশি আহামরি সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ১২৭ রানই করতে পেরেছে।

অবশ্য একটা পর্যায় পর্যন্ত ছন্দেই ছিল বাংলাদেশ। লিটনের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামত করছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫২ রানের এই জুটি ভাঙে শাদাব খানের ওভারে সৌম্য সরকারের বিদায়ে। এই ওভারটিই মূলত ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছে। সৌম্যর ফেরার পরের বলে আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে এলবিডাব্লিউ হন সাকিব। জোড়া আঘাতে চাপে পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আর ইনিংস মেরামত করতে পারেনি। এক ওভার বিরতি দিয়ে নাজমুল শান্ত ফিরলে বিপদ বাড়ে আরও। এই ব্যাটারই সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন।

শেষ দিকে বাকি ব্যাটাররা অবদান রাখতে পারেননি। শুধু আফিফ হোসেন ২০ বলে ২৪ রান করতে পারায় স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৭ রান। বাংলাদেশকে অল্পতে আটকে রাখতে বড় অবদান পেসার শাহীন আফ্রিদির। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাছাড়া ৩০ রানে দুটি নিয়েছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। একটি করে নিয়েছেন হারিস রউফ ও ইফতিখার আহমেদ।

মোসাদ্দেক-সোহানও ব্যর্থ

দ্রুত সৌম্য, সাকিব, শান্তর উইকেট পড়লে পরের ব্যাটার হিসেবে মোসাদ্দেক থিতু হওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি। বরং বাজে শটে বোল্ড হয়েছেন শাহীনের বলে। ফেরার আগে করতে পারেন ৫। নতুন নামা নুরুল হাসান সোহানও একই ওভারে শূন্য রানে ফিরলে শেষটা বাজে হওয়ার ইঙ্গিত মিলতে থাকে। তাসকিন আহমেদও এদিন হাত খুলতে পারেননি। তাকে ১ রানে বাবর আজমের ক্যাচ বানিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। নাসুম ৬ বলে ৭ রান করেছেন। তাকে শেষ ওভারে ফিরিয়েছেন হারিস রউফ।

শান্তর বিদায়ে দ্রুত পড়লো আরেকটি উইকেট

৫২ রানের জুটি ভাঙে সৌম্যর বিদায়ে। জোড়া আঘাতে একই ওভারে সাকিব আল হাসান ফিরলেও অর্ধশত রান তুলেশান্ত স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন। ১৪তম ওভারে তাকেও বিদায় দিয়েছে পাকিস্তান। ইফতিখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়েছেন। ততক্ষণে ৪৮ বলে ৫৪ রান হয়ে গেছে তার। ইনিংসে ছিল ৭টি চার।

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙলো জুটি, বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিদায় সাকিবেরও

পাওয়ার প্লেতে একটি উইকেট পড়লেও ইনিংস মেরামতে অবদান রাখছিলেন শান্ত-সৌম্য। এই জুটিতে যোগ হয় ৫২ রান। গুরুত্বপূর্ণ জুটিটি ভেঙেছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান।

সৌম্য রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে ক্যাচ উঠে যায় বাতাসে। ক্যাচটি নেন শান মাসুদ। ফেরার আগে ১৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেছেন। পরের বলে তো সাকিব আল হাসানকেও লেগ বিফোরে ফিরিয়েছেন শাদাব খান। অবশ্য এই বল খেলার সময় কিছুটা এগিয়ে এসেছিলেন তিনি।

আম্পায়ার কিছুক্ষণ ভেবে আঙুল তুলেছিলেন। পরে রিভিউ নিলে দেখা যায় থার্ড আম্পায়ার লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তেই অটল থেকেছেন। অথচ ব্যাট মাটির কিছুটা ওপরে থাকা অবস্থায় আলট্রা এজে স্পাইক দেখা গেছে। কিন্তু টিভি আম্পায়ার ঘোষণা দেন বল ব্যাটে লাগেনি। অধিনায়ক সাকিবের কাছেও পুরো বিষয়টা অবিশ্বাসের মতো লেগেছিল বলে কিছুক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের কথায় সাজঘরের পথ ধরেন শূন্য রানে।

পাওয়ার প্লেতে উঠলো ৪০

পাওয়ার প্লেতে লিটনের উইকেট পড়লেও ৪০ রান উঠেছে। ৬ ওভারে এক উইকেটে বাংলাদেশর সংগ্রহ ছিল ৪০ রান।

তবে এই জুটি গড়তে যাওয়া শান্ত চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে জীবনও পেয়েছেন। ওয়াসিমের বলে কভারে ক্যাচ ছেড়েছেন শাদাব খান। তখন তিনি ১১ রানে ব্যাট করছিলেন।

সাজঘরে লিটন

শুরুটা প্রত্যাশিত হয়নি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া লিটন দাস তৃতীয় ওভারেই ফিরেছেন।

শাহীন আফ্রিদির বলে সরাসরি শান মাসুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। ফেরার আগে আবার একই ওভারে ছক্কাও মেরেছেন। ৮ বলে তিনি করেছেন ১০ রান।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ