1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সেবা করে মানুষের হৃদয় জয় করুন: শেখ হাসিনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সেবা করে মানুষের হৃদয় জয় করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ নিয়ে চতুর্থবার ক্ষমতায়। আমরা মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দিতে চাই। একটি লোকও দরিদ্র, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। একটি লোকও অশিক্ষায়, অন্ধকারে থাকবে না।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদের ৫৯ জন চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা চাইলে জনগণের সেবা দিয়ে মন জয় করতে পারেন। আর যদি চান জনগণের সম্পদ লুট করে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে, তাও পারেন। এটা হলো বাস্তবতা। যেহেতু জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রেখেছে, আপনারা সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করে দেশের উন্নয়নে আত্মনিবেশ করবেন, এটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেওয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোশতাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়। জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। তাদের মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসায় জিয়াউর রহমান।

সরকার দেশের সব মানুষের উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আমরা জনকল্যাণমূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে।’

বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তখন আপনার দায়িত্ব সবার জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা।’

বিএনপির নানা কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোকো যখন মারা যায় আমি তখন খালেদা জিয়ার খবর নিতে তার বাসায় গেলাম। কিন্তু তারা আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারা আমাকে অপমান করল। তারা মনের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ পুষে রাখে। কিন্তু আমাদের মনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দীর্ঘ বক্তৃতা দিলাম। কারণ অনেকদিন পরে পেলাম তো। বন্দিখানায়ই তো ছিলাম করোনার সময়ে। প্রায় দুই-আড়াই বছর ওই ভিডিও কনফারেন্সে বাকসো বন্দি। ২০০৭ সালে ছিলাম আসল জেলে। সেই জেল ছিল ছোট। আর করোনার সময় ছিলাম বড় জেলে। কিন্তু সুবিধা এটুকু অন্তত ?ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুবাদে ভিডিও কনফারেন্স করতে পেরেছি। সোমবার একটু মুক্তভাবে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ