1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ডলারের দাম কমতে থাকায় অর্থনীতির পালে হাওয়া 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩

পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা ডলারের দামে লাগাম পড়েছে। রেমিট্যান্সের পালে লেগেছে সুবাতাস। আর ডিসেম্বরে আসছে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি আবার বেগবান গতি পেতে যাচ্ছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

ডলার সংকটে বেশ কিছুদিন ধরে আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছিলেন না ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন আমদানিকারকরা।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ডলারের দাম আরো কমানো হবে বলে তারা আশা করছেন।

রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রির করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগে ছিলো ১১১ টাকা।

বাফেদা ও এবিবি নেতারা মনে করছেন, ডলারের দাম কৃত্রিমভাবে ধরে রেখে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমদানিতে ডলারের বাড়তি দামের ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। আর এর ফলেই কমছে না মূল্যস্ফীতির পারদ।

বাফেদা এবং এবিবির সদস্যরা সবাই এই সিদ্ধান্ত মেনে আমদানি ব্যয় মেটাবেন বলে জানিয়েছেন বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফজাল করিম। তিনি বলেন, ‘ডলার দাম বাড়া কমার যে বিষয়টা বাজারে আমরা দেখি, সেটা অনেকটাই কৃত্রিম।’

আফজাল করিম বলেন, ‘রেমিটেন্স বাড়ছে। বাণিজ্য ঘাটতি বেশ কমেছে। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বিওপি) ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। তাই আমরা ৫০ পয়সা করে কমিয়েছি।

এই ধারা অব্যাহত থাকলে পর্যায়ক্রমে আরো কমানো হবে জানিয়ে বাফেদার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি ডলারের বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

ডলারের দাম কমা ছাড়াও অর্থনীতির জন্য আরও সুখবর অপেক্ষা করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত ১৯ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দ্বিতীয় কিস্তির শর্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঋণ চুক্তিতে থাকা বাংলাদেশের প্রথম কিস্তির অর্থ ব্যবহারের অগ্রগতি দেখে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে বছরের মাঝামাঝি কমে আসা রেমিট্যান্সে আবারও গতি ফিরেছে। দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। আর এই রেমিট্যান্সে সুবাতাস লাগায় অর্থনীতি আবার চাঙ্গাভাবে ফিরবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

গত অক্টোবরের পর নভেম্বরেও রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত রেমিট্যান্স প্রবাহের সাপ্তাহিক তথ্যে দেখা যায়, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা ১১৯ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। গত বছর নভেম্বরের ১৭ দিনে এসেছিল ১০০ কোটি ডলার ।

এদিকে ডলারের দাম লাফ দিয়ে যেভাবে বেড়েছিল, ঠিক সেভাবেই লাফ দিয়ে দাম পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করেন মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক।

তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে ডলারের দাম নেমে এসেছে। খোলা বাজারে ডলারের দাম লাফ দিয়ে বেড়েছিল, সেভাবেই কমছে। আমার বিশ্বাস, ডলারের দাম আরও কমবে।

একজন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, দেশের অর্থনীতির সুতাবাস ফেরা শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এটা অব্যাহত থাকবে।

অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যেহেতু রেমিট্যান্স বাড়ছে, সেটা সুখবর আনবে। সামনে নির্বাচন। এখন যদি অর্থনীতির গতিপথ অব্যাহত না থাকে সেটা জনগণের সামনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো।

ঠিক সময়ে আমরা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে দেখছি- মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ বড় একটা গ্রিন সিগন্যাল। বৈশ্বিকভাবে আমরা ভালো মেসেজ দিতে পারবো। আর সেটা রিজার্ভের সিকিউরিটির জন্য খুব ভালো হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ