1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র : প্রতিরোধে সফল আওয়ামী লীগ

ইবার্তা সম্পাদনা পর্ষদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১

রাজনীতির মাঠ দখলে রাখলেও কয়েকটি ঘটনায় বছরের শেষদিকে এসে অনেকটাই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করে কোণঠাসা রাখতে সক্ষম হলেও তৃণমূলে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা বা কিছু হাইব্রিড নেতার বেফাঁস ও অশালীন মন্তব্য নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় থামাতে গলদগর্ম হতে হয় দলটির নীতিনির্ধারক নেতাদের। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে বিদ্রোহী প্রার্থী দমনে ব্যর্থতা এবং নিজ দলের মধ্যে ভাতৃঘাতি সংঘর্ষের ঘটনাও ছিল আলোচনার বিষয়। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি এবং দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র দক্ষভাবে মোকাবেলা করেই আরও একটি বছর পার করল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

বছরের অধিকাংশ সময় রাজনৈতিক কর্মকা- স্থগিত থাকলেও বেশকিছু আলোচনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এই বছরটি পার করল। বিদায়ী বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা, তা-ব চালিয়ে প্রতিহিংসার সহিংস রাজনীতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক দল হেফাজতে ইসলামী। কিন্তু সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভালভাবেই তা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।

বাকি সময়ে রাজপথে ছিল না কোন সহিংসতা কিংবা হিংসাশ্রয়ী রাজনীতি। অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সংসদে সরব থেকেছে, আর বামদলগুলো শুধু দিবসভিত্তিক কর্মসূচী পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বছরের অধিকাংশ সময় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সেবায় দলের নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার ঘটনা ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও করোনায় অসহায় মানুষের সেবায় যেভাবে আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক শক্তিকে ব্যবহার করতে পেরেছে, অন্যকোন রাজনৈতিক দল সেটি করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। পুরো বছরই মাঠে ছিল শুধু আওয়ামী লীগ।

তবে বছরজুড়ে সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা, বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দলগতভাবে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন, বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে কোণঠাসা করে রাখা এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœকারী একজন প্রতিমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদায়ী বছরেও শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বে¦র নজর কাড়তে সক্ষম হন।

স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মধ্যে একটি অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। তবে বছরের শেষদিকে এসে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে একজন প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে বহিষ্কারের ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বেশকিছু মানুষের প্রাণ হারানোর ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলটিকে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়। যার রেশ এখনও কাটেনি।

বিদায়ী বছরটি ছিল মহান স্বাধীনতার এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। সেইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কর্মসূচী উদযাপিত হয়। দুই দফায় জমকালো এসব অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ সার্কভুক্ত পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এসব কর্মসূচীতে অংশ নেন। এছাড়া ভিডিও বার্তা ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ শক্তিধর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন সরকার সারাবিশ্বের সুনাম অর্জন করতে পারলেও সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। বরং কিছু নেতার বিতর্কিত মন্তব্য, কর্মকা- এবং ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাতৃঘাতী সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর বক্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকান্ড। এ সমস্ত বক্তব্য ও কর্মকান্ডের কারণে কয়েকজনকে দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন পদত্যাগে বাধ্য হওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। এই প্রতিমন্ত্রীর নানা সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য এবং একজন চলচ্চিত্র নায়িকার সঙ্গে অশোভন কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় অনেকটায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ড করলে সে যত বড়ই নেতাই হোন না কেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে কাউকে ছাড় দেন না, সেটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বছরের শেষ পর্যায়ে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে মুরাদ হাসানকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডাঃ মুরাদ হাসান। জেলার দলীয় পদ থেকেও তাঁকে বহিস্কার করা হয়েছে। মুরাদ হাসানের এই ঘটনা ছিল বিদায়ী বছরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলের প্রাথমিক পদ এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ হারান আলোচিত জাহাঙ্গীর আলম। গত ১৯ নবেম্বর তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। এরপর তাকে মেয়র পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্ষমতাসীন দলটি।

এছাড়া বিতর্কিত বক্তব্য-কর্মকান্ডে আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাকেও দল থেকে বহিষ্কার এবং ২৯ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা- এবং বেফাঁস মন্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কার এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। পহেলা ডিসেম্বর গ্রেফতার হন আব্বাস আলী।

করোনার কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম অধিকাংশ সময় স্থগিত থাকলেও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। করোনার মধ্যেও বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলার সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করতে সক্ষম হন তারা। বিদায়ী বছরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষভাবে তার দলের নেতাকর্মীদের করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় হয়ে পড়া দেশের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে এবং সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে মানবতার সেবায় নিয়োজিত করতে আবারও সফল হন। বছরের শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেয় আওয়ামী লীগ।

তবে বিদায়ী বছরে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হতাহতের ঘটনা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই নির্বাচনের অধিকাংশ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগ। দল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে নৌকার ভরাডুবি ঘটাতে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে যায়। আগে থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান এবং সহ¯্র্রাধিক আহত হন। যা বছরের শেষদিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

বিদায়ী বছরেও দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। মারা গেছেন বেশ কয়েকজন দলীয় সংসদ সদস্যও। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১৪ এপ্রিল মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। মারা যান সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান অধ্যাপক আলী আশরাফ। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে দলের অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কর্মকান্ড

দেশের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিদায়ী বছরেও সংসদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচী পালন ছাড়া বিদায়ী বছরে রাজপথে বড় কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। বিদায়ী বছরেও দলটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দ্বন্দ্ব এবং পারিবারিক বিরোধ সামাল দিতেই গলদঘর্ম হতে হয়েছে। জাতীয় পার্টি এককভাবে আগামী নির্বাচনে ৩শ’ আসনেই প্রার্থিতা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিলেও সাংগঠনিকভাবে দলটিকে শক্তিশালী করতে উল্লেখ করার মতো বড় কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।

দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তার ছোট ভাই বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও এ নিয়ে পারিবারিক কোন্দল এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বছরের শেষের দিকে এসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে নতুন সঙ্কটে পড়ে দলটি। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সিনিয়রদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত একজন জুনিয়র সংসদ সদস্যকে মহাসচিব করতে চাইলে বেঁকে বসেন দলটির অধিকাংশ সিনিয়র নেতারা। দলটির সিনিয়র নেতাদের চাপে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের সাবেক পত্নী বিদিশা এরশাদ নতুন জাতীয় পার্টি গড়ার কথা বললেও তাতে হলে পানি পায়নি। তবে সংসদে পুরো বছরই বেশ সরব ছিল জাতীয় পার্টি।

তবে বিদায়ী বছরেও চরম কোণঠাসা ছিল স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো। গোপন ষড়যন্ত্র, মিটিং করা ছাড়া প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল না জামায়াতে ইসলামীর। বরং গোপন ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে ধরা পড়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীই রয়েছে এখন শ্রীঘরে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং হামলা চালিয়ে হেফাজতে ইসলামী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে সফল হয়েছে। অন্যান্য উগ্র সাম্প্রদায়িক দলগুলো বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে সরকারবিরোধী হুমকি-ধমকি দিলেও রাজপথে তারা সামান্য শক্তি প্রদর্শন করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

বাম দলগুলোর কর্মকা- বছরজুড়েই বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ওয়ার্কার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ ছাড়া অন্যান্য বাম দলগুলোর কর্মকা- ছিল দিবসভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিভেদ ভুলে বাম দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ডাক দেয়া হলেও সেটির কোন বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ