1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে মুরগী-সবজি খাওয়াতে চান রাজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

কিছুদিন আগেও ভূমি এবং গৃহহীন ছিলেন রাজিয়া। প্রতিনিয়ত শিকার হতেন নানান বঞ্চনার। অবশেষে গত এপ্রিলে জেলার সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার রামপুরা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পান তিনি। ঘরসহ পাওয়া একখণ্ড ভূমিকে উৎপাদনমুখী করতে শুরু করেন সংগ্রাম। আর এতে মিলে সফলতার দেখাও। তারই কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে মুরগী ও সবজি খাওয়াতে চান রাজিয়া।

রাজিয়ার বাড়ির আঙিনায় গাছে গাছে ধরেছে লাউসহ নানান সবজি। খোয়াড়ে বাড়ছে মুরগি। সেই মুরগি আর সবজি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করতে চান সিলেটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রাজিয়া বেগম।

রাজিয়া বলেন, আগে যখন ঘর ছিল না তখন মানুষের বাড়িতে থাকতাম। মানুষ নানান কথা বলতো। আজ থেকে ৪ মাস আগে আমি ঘর পেয়েছি। আমি ঘর পেয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে এখানে সবজি চাষ করেছি। কয়েকদিনে অন্তত ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। তারপরে হাস, মুরগি এবং কবুতরও পালছি।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার কারণে আমি নিজের বাড়ি পাইলাম, নিজের ঘর পাইলাম। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবার ও বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করি।

রাজিয়া একা নয়, প্রকল্প এলাকার খালি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদের পাশাপাশি মোরগ ও কবুতর পালন শুরু করেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ১০ পরিবার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতি ইঞ্চি ভূমি উৎপাদনমূখী করতে বীজ, সার নিয়ে এগিয়ে আসে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনও। এতে সফলতা ধরা দেয় একসময়ে পদে পদে লাঞ্ছিত হওয়া এই মানুষদের।

কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, শুধু এই আশ্রয়ণ প্রকল্প নয়, কানাইঘাটের অন্তত ১২টি প্রকল্পে একই মডেল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এর মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষরা এখন বেশ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব জমি ব্যবহার করা গেলে বছরে লাখ টাকার ফসল ও সবজি আবাদ করা সম্ভব বলেও দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন চৌধুরী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই মানুষগুলো খুব খুশি। তারা এখানে শাক সবজি চাষ করছে। তারা বলছে, এই সবজি তারা প্রধানমন্ত্রীকে খাওয়াতে চায়।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের সিলেট বিভাগে মোট ২৩ হাজার গৃহহীন মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে আমরা প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। এখানে তাদের এক কাঠায় ঘর এবং এক কাঠায় তারা আবাদ করেছেন। অসাধারণ একটা বাগান আমরা দেখলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য যে সফল হচ্ছে এটাই তার বাস্তব উদাহারণ।

তিনি আরও বলেন তারা বলেছেন, ৩-৪ মাসের মধ্যে তারা ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। এটাতো একটা বিশাল বিষয়। এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। অন্যদের ক্ষেত্রে। আমরা আশা করবো এটাকে ফলো করে অন্যরাও আগ্রহী হবে। প্রতিটা ইঞ্চি জমি কাজে লাগাবে। এভাবে প্রতিটি ইঞ্চি ভূমি আবাদ করা গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কাটবে খাদ্য সংকটও।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা চাষ করতে চাইলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পতিত খাস জমিও তাদের বরাদ্দ দেওয়া হবে জানান বিভাগীয় কমিশনার।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ