1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

প্রেস এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের প্রতারণার ফিরিস্তি

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গত ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে ১৮টি মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ কর্মচারী। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া এই কর্মচারীরা ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৃথকভাবে এসব মামলা দায়ের করেন।

নতুন মামলাগুলো এমন সময়ে হয়েছে, ঠিক তার আগের দিন শ্রম আইন লঙ্ঘনের আরেক মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলায় অপর তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

এসব মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ১০১ কর্মচারীর চাকরি নিয়মিতকরণ না করে এই শ্রমিক-কর্মচারীদের পরিবারগুলোকে দুঃসহ অবস্থায় ফেলেছেন। কর্মচারীদের অংশ্রগহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করেননি। তিনি শ্রমিকদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেননি। কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের সময় তিনি আইনি খরচের অজুহাত দেখিয়ে ৬ শতাংশ কেটে রাখেন। তিনি পাচারের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ টেলিকমের ২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বিভিন্ন সহযোগীর ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছেন।

প্রেস এক্সপ্রেস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায় এড়ানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেলজয়ী হিসেবে তার অবস্থানকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি আশা করছেন, ক্ষুদ্র ঋণ প্রবর্তন করে বিশ্বজোড়া যে খ্যাতি তিনি পেয়েছেন, তা ব্যবহার করে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। তিনি তার পক্ষে একটি মিডিয়া ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অপরাধ আড়াল করতে চাইছেন। নিজেকে দারিদ্র বিমোচনের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। আর এই সব কিছুরই উদ্দেশ্য, নৈতিক ও আইনগত অপরাধের ওপর থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া।

বিশ্বজোড়া যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের পক্ষে বিবৃতি ও চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আইনগতভাবে মোকাবেলা করার চেয়ে তিনি একদল বিশ্বনেতা এবং নোবেলবিজয়ীদের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। প্রমাণ করতে চাইছেন যে, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এভাবে তিনি মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চাইছেন, জনমতকে প্রভাবিত করতে চাইছেন। কিন্তু তার এ কৌশল এখন কাজে লাগছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। শ্রম আইনে গুরুতর অপরাধ করা সত্ত্বেও তিনি সরকারের দুর্নাম করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন। শ্রমিকের পাওনা না দেওয়ার অপরাধের সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে জড়িয়ে ফেলেছেন। আর এই প্রচেষ্টা তার সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।

১৯৯৭ সালে ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের লাইসেন্স পান। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি দরিদ্র মানুষকে টেলিযোগাযোগ সেবা দেবেন এবং এ থেকে কোনো লাভ করবেন না। গ্রামীণ টেলিকম প্রতি বছর গ্রামীণ কল্যাণ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে বিপুল পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ দিতে পারে না।

সরকারের অভিযোগ, ড. ইউনূস আইন লঙ্ঘন করে গ্রামীণ কল্যাণকে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লভ্যাংশ দিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, লাইসেন্সে বর্ণিত শর্ত মেনেই তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লভ্যাংশ দিয়েছেন। যদিও ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হারান ড. ইউনূস, এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনো চলছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত পালাকার, গ্রামীন শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হোক

প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান: ওআইসিতে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ডোজের আওতায় ৬ কোটি ৬৫ লাখ মানুষ

মশার সচেতনতা নিয়ে স্কুলে স্কুলে ‘আর্টবুক’ বিতরণ করছে ডিএনসিসি

’৮৯ সালের ১০ আগস্ট গ্রেনেড গুলিতে কেঁপে ওঠে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর

একজন শেখ হাসিনা নন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিল বাংলাদেশ

খুব শীঘ্রই লালমনিরহাটে প্লেন তৈরি করবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

তীব্র গরমে রিকশাচালকদের ছাতা দিচ্ছে ডিএনসিসি

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়

বিশ্বের দীর্ঘতম দশ মেট্রোরেল সম্পর্কে জানুন