1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কাশফুলেই যাদের জীবন-জীবিকা

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

শরতের সব শুভ্রতাই যেন নেমে এসেছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কাশবন। সদর উপজেলার ধরলা নদীর অববাহিকার জনমনের চরে শরতের মাঝামাঝি সময়ে সাদা ফুলে ভরে ওঠেছে কাশবন। শেষ বিকেলের স্নিগ্ধ আলো যেন ঠিকরে পড়ছে সাদা ফুলে। প্রকৃতির হালকা বাতাসের দোলায় এটি হয়ে ওঠেছে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আর এই কাশবন দেখতে প্রতিদিন বিকেলে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তুলছেন সেলফি, করছেন ফটোসেশনও।

এ ছাড়া এই কাশফুল শুধু সৌন্দর্য বিলাসী নয়, চরবাসীদের জীবন-জীবিকার উৎসও। কাশখড়ের এক আঁটির দাম ১২ টাকা।

চরাঞ্চলের কাশবন দেখতে আসা আরিফা জানান, কুড়িগ্রামে বিনোদনের কোনো জায়গা না থাকায় এ কাশফুল দেখতে এ চরে এসেছেন তিনি। দেখে ভালো লেগেছে। এখানকার অনুভূতিটাই অন্য রকম। পুরো বিকেলজুড়ে কাশবন ঘুরে ঘুরে মনের ক্ষুদা মিটাচ্ছেন সৌন্দর্যপিপাসুরা। উপভোগ করছেন পড়ন্ত সূর্যের লাল আভায় সাদা ফুলের বিকশিত রূপ। ব্যক্ত করছেন তাদের অনুভূতির কথাও।

জনমনের চরে কাশফুল দেখতে আসা আরেক দর্শনার্থী সোহেল জানান, প্রতি বছর শরতে এই চরাঞ্চলগুলো কাশফুলের সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছি কাশফুল দেখতে। অনেক অনেক ভালো লেগেছে।

এদিকে এই কাশফুল প্রকৃতিপ্রেমীদের সৌন্দর্যের লীলাভূমি হয়ে উঠলেও বিনা খরচে গজিয়ে উঠা কাশবনই চরাঞ্চলের মানুষের অর্থের উৎস। প্রতি বছর কাশখড় বিক্রি করেই মেটাচ্ছেন সংসারের অনেকটা চাহিদা।

চরের বাসিন্দা আকবর আলী জানান, এই কাশফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়। কাশখড়ের এক হাজার আঁটির দাম ১২ হাজার টাকা; আর এক আঁটির দাম ১২ টাকা। এটা বিক্রি করে আমরা সংসারে কাজে লাগাই। আমাদের আয়ের উৎস এই কাশবন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মীর্জা নাসির উদ্দিন জানান, শরতের সৌন্দর্যের প্রতীক এই কাশবন দুর্যোগকালীন সময়ে গো খাদ্যের চাহিদা মেটায়। কাশফুল পর্যটকদের কাছে দৃষ্টিনন্দন হলেও এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নানা ঔষধি গুণ রয়েছে।

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের বেশির ভাগ চরেই শোভা পাচ্ছে এই কাশফুল। প্রতিদিনই শহর ও দূর গ্রামের মানুষ বিকেল হলে নৌকায় নদী পার হয়ে আসছেন কাশবনে। প্রায় অস্তমিত সূর্যের লাল আভায় অন্ধকার নামার আগেই আবার ফিরে যাচ্ছেন ঘরে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ